• facebook
  • twitter
Tuesday, 29 April, 2025

মেসির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামি সেমিফাইনালে

দ্বিতীয়ার্ধে ৬১ মিনিটের মাথায় মায়ামিকে এগিয়ে দেন ফেডেরিকো রেডোন্ডো। নোয়া অ্যালেনের কাছ থেকে বল পেয়ে আগুয়ান হুগো লরিসকে পরাস্ত করে গোল করেন তিনি।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

প্রথম লেগের খেলায় হারতে হয়েছিল ইন্টার মায়ামিকে। অর্থাৎ লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল লিওনেল মেসিদের বিরুদ্ধে। তাই কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিফাইনালে উটতে গেলে কমপক্ষে ২ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে ইন্টার মায়ামিকে। এই অবস্থায় লিওনেল মেসিদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তাই কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের খেলায় ইন্টার মায়ামি দুরন্ত ফুটবল খেলল লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি’র বিরুদ্ধে। জয় পেল ৩-১ গোলের ব্যবধানে ইন্টার মায়ামি। আর এই জয়ের পিছনে নায়ক হিসেবে লিওনেল মেসি শিরোনামে উঠে এলেন। মেসি জোড়া গোল করলেন। শেষ পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেস এফসিকে ৩-১ হারালো অর্থাৎ সব মিলিয়ে ইন্টার মায়ামি জয় পেল ৩-২ গোলের ব্যবধানে। আর এই জয়ের ফলে শেষ চারে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেল ইন্টার মায়ামি।

ঘরের মাঠে এই খেলায় লিওনেল মেসিরা খুব একটা ভালো জায়গায় পৌঁছয়নি। খেলার ৯ মিনিটের মাথায় পিছিয়ে পড়েছিল ইন্টার মায়ামি। লস অ্যাঞ্জেলেসের হয়ে অ্যারন লং গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। স্বাভাবিকভাবে বেশ চাপে পড়ে যায় ইন্টার মায়ামি। তাদের শুধু জেতা নয়, কমপক্ষে তিনটি গোল করতে হবে এই ম্যাচে। এই লক্ষ্যে লিওনেল মেসিরা দুরন্ত ফুটবল খেলতে শুরু করেন। ঝড়ের গতিতে আক্রমণ গড়ে তুলে প্রতিপক্ষ লস অ্যাঞ্জেলেস দলকে চাপের মধ্যে রেখে দেন। মেসি একাই ছত্রভঙ্গ করে দেন প্রতিপক্ষ দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের। প্রাথমিক ধাক্কা সামলিয়ে খেলায় ফিরে আসে মায়ামি। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন মায়ামি দলের ফুটবলাররা। খেলার ৩৫ মিনিটে পেনাল্ট বক্সের মাথা থেকে বাঁ পায়ে দারুণ শট নিয়ে গোল করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন মেসি। প্রথম পর্বে খেলার ফলাফলে আর কোনও পরিবর্তন হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধে ৬১ মিনিটের মাথায় মায়ামিকে এগিয়ে দেন ফেডেরিকো রেডোন্ডো। নোয়া অ্যালেনের কাছ থেকে বল পেয়ে আগুয়ান হুগো লরিসকে পরাস্ত করে গোল করেন তিনি। ৬৭ মিনিটের মাথায় মেসির ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন লুই সুয়ারেস। কিন্তু অফসাইডে সেই গোল বাতিল হয়। যত সময় গড়াচ্ছিল তত চাপ বাড়ছিল মায়ামির উপর। মরিয়া হয়ে উঠেছিল তারা। শেষ পর্যন্ত ৮৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় মায়ামি। লরিসকে পরাস্ত করে গোল করেন মেসি।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে এই লরিসকে পেনাল্টি থেকে দু’বার পরাস্ত করেছিলেন মেসি। এ বারও তাঁর শট রক্ষা করতে পারলেন না ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। মায়ামির হয়ে ৪৮টি ম্যাচে ৪১টি গোল করলেন মেসি। এই ম্যাচে লিওনেল মেসির জোড়া গোল সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাল।