মাদ্রিদ, ৩১ মার্চ – প্রথমার্ধে দেখা না গেলেও, দ্বিতিয়ার্ধে মেসি ম্যাজিকেই কষ্টার্জিত জয় তুলে নিল বার্সিলোনা। এসপ্যানিওলের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় তুলে নিয়ে বার্সিলোনা লা লিগাতে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রাখল। আপাতত মেসির দল ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেল। দ্বিতীয় ও তৃতীয়স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ (৫৯) ও রিয়েল মাদ্রিদ (৫৪) বার্সার থেকে অনেকটাই পিছনে। এসপ্যানিওলবধে বার্সার পয়েন্ট দাঁড়াল ২৯ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ঊনষাট পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতিয়স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে, তৃতীয়স্থানে থাকা রিয়েল মাদ্রিদ দুটি দলের থেকে এক ম্যাচ কম খেলে চুয়ান্ন পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। কিন্তু মেসির বার্সা যেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে তাদের ধরতে যে বাকি বাকি দলগুলির বেশ সময় লাগবে বা মেসিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যেতে পারে সেটা কিছুটা আগাম বলা যায়। বার্সার কোচ ভ্যালভার্দে ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘প্রথমার্ধে কোনো গোল না হওয়ায় আমি কিছুটা চাপের মধ্যে ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম হয়তো ম্যাচটা অমীমাংসিত ভাবে শেষ হবে। তবে, আমি বিরতির সময় দলের ফুটবলারদের বঝানোর চেষ্টা করেছিলাম এখনো হাতে পঁয়তাল্লিশ মিনিট সময় রয়েছে তাই তোমরা নিজেরা মানসিক দিক দিয়ে কোনও সময়ের জন্য ভেঙে পড় না, নিজেদের সেরা খেলাটা মেলে ধর। আর দলের ফুটবলাররা দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে সেই কাজের কাজটা করে দেখিয়েছে এবং আমরা জয় পেয়েছি। আর মেসি একজন বড় মাপের ফুটবলার আর ও জানে চাপটা কীভাবে সামাল দিতে হয় আর ও সেই কাজটা করে গিয়েছে।’
খেলার শুরু থেকে বার্সার মতন শক্তিশালী দলকে এসপ্যানিওল পুরোপুরি আটকে রেখেছিল। একটি গোল করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মেসিরা বারবার বিপক্ষের গোলের জালে বল জড়ানোর চেস্ত করছিল কিন্তু সেটা কাজে লাগছিল না। অনেক সুযোগ পেয়েছিল বার্সার আক্রমণভাগে ফুটবলাররা কিন্তু সেখান থেকে গোল করে এগিয়ে যেতে পারছিল না। একটার পর একটা সুযোগ তাদের ক্যাচ থেকে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল। প্রথমার্ধে মেসিদের আটকে রাখতে পেরে বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল এসপ্যানিওলের ফুটবলাররা। কিন্তু দ্বিতিয়ার্ধে তাদের কপালে যে দুঃখ নাচছিল সেটা তারা কোনও সময়ের জন্য ভাবতে পারেনি। আর মেসি ম্যাজিক যে দ্বিতিয়ার্ধে দেখা যাবে সেটা কেউই বুঝতে পারেনি।
প্রথমার্ধে কোনও গোল না হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নামার পর খেলা সত্তর মিনিট গড়িয়ে গেলেও, বার্সার ফুটবলাররা গোল করে এগিয়ে যেতে পারেনি। কিন্তু সেই মেসির উপর ভরসা। একাত্তর মিনিটে মেসির অসাধারণ গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন ১-০ গোলে। এক গোলে এগিয়ে থাকার পর মেসিরা যেন খেলায় উত্তেজনা ফিরে পেয়েছিল। এরপর আরো গোল করার প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছিল। বেশ চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল এসপ্যানিওলের ফুটবলাররা। তবে, চাপটা সামলে গোলের ব্যবধান বাড়াতে দেয়নি এসপ্যানিওলের ফুটবলাররা। কিন্তু, খেলার অন্তিম লগ্নে অর্থাৎ ৮৯ মিনিটে আরো একটি গোল করে দলকে ২-০ গোলে জয় এনে দেন সেই মেসি। শেষবেলায় মেসিম্যাজিকে বার্সার সুন্দর জয় দেখে বেশ খুশি সমর্থকরা।