ম্যাঞ্চেস্টার— এই মুহূর্তে বিশ্ব ফুটবলে ফ্রান্সের পয়লা নম্বর খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপের নামটা সবার মুখে মুখে ঘুরছে। সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার সম্মান পেয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। গত বিশ্বকাপ ফাইনালেও ফ্রান্সের হয়ে দুরন্ত ফুটবল খেলেছিলেন। তবে বিশ্বখেতাব জেতা হয়নি।
ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের পর সান্তিয়াগো বের্নাবিউতে গিয়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি জিতবে, এমন আশা খুব বেশি সমর্থক করেননি। তা হলও না। ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ ৩-১ গোলে হারাল ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে। হ্যাটট্রিক করে শিরোনামে নাম লিখিয়ে ফেললেন সেই ফুটবল নায়ক কিলিয়ান এমবাপে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে জুভেন্টাস। দুর্বল ব্রেস্টকে সাত গোলে হারিয়েছে প্যারিস সঁ জরমঁ।
গোটা ম্যাচেই সিটির উপর দাপট দেখিয়েছে রিয়াল। সংযুক্তি সময়ে নিকো গঞ্জালেজের একমাত্র গোল ছাড়া এই ম্যাচ থেকে কোনও প্রাপ্তি নেই সিটির। চতুর্থ মিনিটেই রিয়ালকে এগিয়ে দেন এমবাপে। প্রথমার্ধেই দ্বিতীয় গোল করেন। দ্বিতীয়ার্ধে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন ফরাসি ফুটবলার এমবাপে। রিয়ালে এসে শুরুতে ভাল খেলতে না পারলেও যত সময় এগোচ্ছে তত ধারালো হয়ে উঠছেন এমবাপে।
ম্যাচের পর তিনি বলেছেন, ‘আমরা জেতার জন্য মরিয়া ছিলাম। কারণ রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় খেলবে, এটাই বড় কথা। তা ছাড়া রিয়াল মাদ্রিদে খারাপ খেলতে আসিনি। স্বপ্নপূরণ করা আলাদা ব্যাপার। তবে এই ক্লাবের হয়ে ভাল খেলাই লক্ষ্য।‘ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০ ম্যাচে সাতটি গোল হল এমবাপের। সব মিলিয়ে চলতি মরসুমে ২৮টি গোল করে ফেললেন। তার মধ্যে গত ১৮টি ম্যাচে ১৮টি গোল করার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর।
শুধু তাই নয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউটে দু’টি হ্যাটট্রিক হল তাঁর। এই কৃতিত্ব রয়েছে লিওনেল মেসি, করিম বেঞ্জেমা এবং রবার্ট লেয়নডস্কির। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নকআউটে চার বার হ্যাটট্রিক করেছেন। এর আগে প্যারিসের হয়ে খেলার সময় বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এমবাপে।
হারের পর সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা বলেছেন, ‘যোগ্য দলই জিতেছে। আমাদের মরশুমটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। খারাপ সময়ের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে।’
প্লে-অফে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছিল পিএসজি। দুই পর্বে তাদের দাপটেই সেটা পরিষ্কার। ফ্রান্সেরই ক্লাব ব্রেস্টকে প্রথম পর্বে ৩-০ হারিয়েছিল তারা। দ্বিতীয় পর্বে দিল সাত গোল। সাত জন আলাদা গোলদাতা। ব্র্যাডলি বার্কোলা, খিভিচা কাভারাৎস্কেলিয়া, ভিটিনহা, ডিজায়ার ডুয়ে, নুনো মেন্দেস, গন্সালো রামোস এবং সেনি মায়ুলু গোল করেছেন।
নেদারল্যান্ডসের ক্লাব পিএসজি আইন্দোভেনও শেষ ষোলোয় গিয়েছে। তারা ৩-১ হারিয়েছে জুভেন্টাসকে। সব মিলিয়ে ৪-৩ জিতেছে তারা। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড গোলশূন্য ড্র করেছে স্পোর্টিং লিসবনের সঙ্গে। তবে প্রথম পর্বে ৩-০ জেতার সুবাদে তারাই শেষ ষোলোয় গিয়েছে।
এ দিকে, অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে ২-২ ড্র করে চাপে পড়ে গিয়েছে ইপিএলের শীর্ষে থাকা দল লিভারপুল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের থেকে এখনও আট পয়েন্টে এগিয়ে থাকলেও লিভারপুল একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে। ইউরি তিয়েলেম্যান্স এবং অলি ওয়াটকিন্সের গোলের সৌজন্যে প্রথমার্ধেই ২-১ এগিয়ে যায় ভিলা। লিভারপুলের হয়ে গোল করেন মহম্মদ সালাহ। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁরই সেন্টার থেকে সমতা ফেরান ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড।