ফ্রান্সের অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপে । কিন্তু বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার আর দেশের হয়ে খেলতেই চাইছেন না। গত ম্যাচে বাদ দেওয়া হয়েছিল কারণ উরুতে চোট ছিল তাঁর। সেই কারণে দলে রাখা হয়নি। কিন্তু এখন চোট সেরে গিয়েছে। তার পরেও এমবাপে দেশের হয়ে খেলতে যেতে চাইলেন না। তিনি স্পেনেই রয়ে গেলেন। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন এমবাপে।
নেশনস লিগে ম্যাচ রয়েছে ফ্রান্সের। খেলতে হবে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এমবাপে জানিয়ে দিলেন, তাঁকে যেন দলে রাখা না হয়। এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ফ্রান্সের হয়ে আর কখনও নাকি খেলতেই চান না এমবাপে। অন্তত যত দিন দিদিয়ের দেশঁ কোচ থাকবেন, তত দিন খেলবেন না তিনি। এমবাপে এবং দেশঁর সঙ্গে সম্পর্ক নাকি একেবারে তলানিতে।
এমবাপের মা এবং এজেন্ট ফায়জা লামারিও চান দেশঁকে ছাঁটাই করুক ফ্রান্স। আরও অনেক ফুটবলারই কোচ হিসাবে চাইছেন না দেশঁকে। ১২ বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। ফুটবলারেরা চাইছেন দেশঁকে সরিয়ে জিনেদিন জিদানকে কোচ করা হোক।
অনেকে মনে করছিলেন, এমবাপের বিরুদ্ধে যেহেতু ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে সেই কারণে ফ্রান্স দলে তাঁকে রাখা হয়নি। কিন্তু দেশঁ বলেন, “আমি দুটো জিনিস বলব, এক, এমবাপে আসতে চেয়েছিল। দুই, খেলার বাইরের কোনও ঘটনার কারণে ওকে বাদ দেওয়া হয়নি। কারণ অভিযুক্ত হলেই কেউ দোষী হয় না।” এই বছর পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন এমবাপে। কিন্তু সেখানে ফর্মে নেই তিনি। বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ০-৪ গোলে হারতে হয় তাঁর দলকে। কোচের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরায় এবং অফ ফর্মে থাকায় এমবাপেকে নিয়ে সবাই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। এমবাপের এই ব্যবহারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ফুটবল দুনিয়ায়।