আরও একবার প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার লড়াই গেল শেষ দিনে৷ তবে শেষদিনের সেই লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটিই আরও একবার মাঠে নামবে ফেবারিটের তকমা নিয়ে৷ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ চাইলেই আকাশী নীল রিবনে সাজিয়ে রাখতে পারেন প্রেস্টিজিয়াস এই ট্রফিকে৷ এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই যারা কোনো পয়েন্ট হারায়নি তারা শেষদিনে পয়েন্ট হারাবে, এমনটা ভাবাই মুশকিল৷
বেশ কিছুদিন ধরেই আর্লিং হালান্ড ভুগছিলেন গোলখরায়৷ বিশেষ করে বিগ ম্যাচে তার গোলের অভাব সমালোচনার শিকার হয়েছে বারবার৷ এবারেও ভুগেছেন৷ মার্চের পর থেকে উলভসের সঙ্গে এক ম্যাচে চার গোল বাদ দিলে গোল পেয়েছেন মোটে ৩টি৷
কিন্ত্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে ঠিকই জ্বলে উঠলেন এই নরওয়েজিয়ান তারকা৷ লিগ সূচিতে সবচেয়ে বড় ম্যাচ বোধকরি এটাই ছিল৷ ২০১৯ সালে টটেনহামের নতুন স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর পর এখানে লিগের ম্যাচ জিততে পারেনি সিটি৷ এমনকি একটি গোলও ছিল না হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নদের৷ সেই ম্যাচেই হালান্ড করলেন জোড়া গোল৷ সিটিও এগিয়ে গেল শিরোপার কাছাকাছি৷
দু’দলের ম্যাচের দিকে প্রবল আগ্রহে তাকিয়েছিল আর্সেনাল৷ সিটি পয়েন্ট হারালেই লিগ শিরোপার পথে এগিয়ে যাবে গানার্সরা৷ এই আর্সেনালই আবার টটেনহ্যামের নগর প্রতিপক্ষ৷ সেই তাড়নাতেই কি না সিটির কাছে গোল খেয়ে সেটা উদযাপনও করেছেন কিছু টটেনহাম সমর্থক৷
এপ্রিল থেকে টানা জয়ের মধ্যে থাকা সিটি শেষ পর্যন্ত টটেনহামকে হারিয়েছে ২-০ গোলে৷ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোলই করেছেন আর্লিং হলান্ড৷ ম্যাচের ৫২তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার গোলমুখে বাড়ানো বল পায়ের টোকায় জালে জড়ান হালান্ড৷ নিজের দুর্দান্ত পজিশনিং সেন্সের প্রমাণ এই ম্যাচে আবারও দিয়েছেন তিনি৷
তবে টটেনহাম ম্যাচে ফিরতে পারত৷ ৮৬তম মিনিটে সিটির বদলি গোলকিপার স্টেফান ওরতেগাকে একা পেয়ে যান হিউন-মিন সন৷ কিন্ত্ত টটেনহামের কোরিয়ান তারকা শট নেন সোজাসুজি, এগিয়ে আসা ওরতেগা এক পা বাড়িয়ে গোল আটকান৷
সনকে সেই গোল মিসের শাস্তি দিতেই কিনা ৯১ মিনিটে পেনাল্টি পায় সিটি৷ জেরেমি ডকুকে পেদ্রো পোরো বক্সের ভেতরে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় গার্দিওলা শিষ্যরা৷ স্পটকিক কাজে লাগাতে ভুল হয়নি হালান্ডের৷
এ জয়ে আর্সেনালকে টপকে প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে সিটি৷ ১৯ নভেম্বর ওয়েস্ট হামকে হারালেই টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা জিতবে গার্দিওলার দল৷ আর্সেনালের সুযোগ থাকবে শুধুমাত্র সিটি পয়েন্ট হারালে৷