নিরাপত্তার প্রশ্নে রবিবার ডুরান্ড কাপ ফুটবলের ডার্বি ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়। তবে, দুই প্রধান মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণের সামনে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে সমবেত হয়েছিলেন। শান্তিপূর্ণ এই সমাবেশে ’উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে গর্জন করেছিল দুই দলের সমর্থকদের পাশে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকরাও হাত মিলিয়েছিলেন। সমর্থকদের ভিড় এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, তা দেখে অনেকেই অবাক হয়ে যান।
ময়দানে এমন ঐক্যের বাতাবরণ আগে কোনওদিনই দেখা যায়নি। সবুজ-মেরুন ও লাল-হলুদ সমর্থকরা একত্রিত হয়ে যে জোট তৈরি করেছিলেন তা অভাবনীয়। তার সঙ্গে সাতা-কালো জার্সির সমর্থকরাও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। অল্প সংখ্যক প্রাক্তন ফুটবলারদের চোখে পড়লেও বেশির ভাগ খেলোয়াড়দের দেখতে পাওয়া যায়নি এই বিক্ষোভ সমাবেশে। একটা সময় পুলিশের তৎপরতায় কিছুটা সময় ওই সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হলেও তাঁরা পিছু হঠেননি। লাঠিচার্জও করা হয়েছিল এবং কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়। তাতেও তাঁরা পিছিয়ে না গিয়ে বিচারের দাবিতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণ চত্বর মুখর হয়ে ওঠে। দুই দলের কয়েকজন সমর্থককে পুলিশ আটক করে এবং পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। একাধিক মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের এই গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানানো হয়। তারই জেরে এবারে জরুরি জনস্বার্থ মামলার অনুমতি চেয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার শুনানি হবে দুপুর দুটোর সময়। শোনা গেছে বেশ কয়েকজনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে প্রাক্তন ফুটবলার মেহেতাব হোসেন বলেছেন, এই আন্দোলন যেন বন্ধ না হয়। আরজি কর কাণ্ডে ফুটবলপ্রেমীদের প্রতিবাদে তিনি থাকতে পারেননি কলকাতার বাইরে থাকার জন্য। মেহতাব ফেসবুকে লিখেছেন, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সমর্থকরা যেভাবে আরজি কর কাণ্ডের জন্য প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাকে আমিও সমর্থন করি। ময়দানি ঐক্য বেঁচে থাক। তবে অন্য সূত্রে জানা গেছে, এই প্রতিবাদে কেন সাত বা আটের দশকের প্রাক্তনরা এগিয়ে এলেন না? এমনকি বড় দলের শীর্ষ কর্তাদের কাছ থেকেও কোনওরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।