লখনউ— এমন কী হল আইপিএল ক্রিকেটে লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের? তিনি রাতারাতি জানিয়ে দিলেন, লখনউ দলের হয়ে তিনি আর খেলতে চান না৷ এমনকি, আইপিএল ক্রিকেট চলাকালীনই নিজের পছন্দের ফ্র্যাঞ্চাইজির নামও জানিয়ে দিলেন৷ তিনি রাজস্থান রয়্যালসের রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে জানিয়েছেন, অন্য দলের হয়ে খেলার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর৷ লখনউ-এর অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে কিছুটা হার্দিকের সুরেই কথা বলতে শোনা গেল৷ আইপিএলে মিনি নিলামের সময় গুজরাত টাইটানস ছেড়ে হার্দিক চলে যান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে আর রাহুল লখনউয়ের পরিবর্তে পুরনো দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে চান৷ এখন আইপিএল ক্রিকেটের অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা পান লোকেশ রাহুল৷ তবুও তাঁর মন টিকছে না লখনউ দলে৷ রাহুল উইকেটরক্ষক এবং ভালো ব্যাটসম্যান৷
তবে এখনই তিনি কী করবেন, সেইভাবে স্পষ্ট কথা বলছেন না৷ কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সামনেই তাঁর বাড়ি৷ বেঙ্গালুরুতে থাকেন৷ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম তাঁর ঘরের মাঠ বলেই সবার জানা৷ যখন আইপিএল ক্রিকেট খেলতেন না রাহুল, তখন নিজের রাজ্যের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স করতেন৷ এই মাঠের প্রতি তাঁর একটা আলাদা টান রয়েছে৷ সেই কারণে বেঙ্গালুরু ছেড়ে লোকেশ রাহুল নিজের দলের হয়ে খেলতে চাইছেন৷ তাহলে মানসিক দিক দিয়ে ভালো জায়গায় পৌঁছনো যাবে৷ বেঙ্গালুরুর ছেলে লোকেশ রাহুলকে ২০২২ সালে নিলামে কিনেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস৷ প্রথম থেকেই তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন৷ অবশ্য ২০১৩ সালে এবং ২০১৬ সালে রাহুল ছিলেন বেঙ্গালুরু দলের ক্রিকেটে৷
এই ধরনের ঘটনা অনেক ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে বলে মেনে নিয়ে৷ এইরকম উদাহরণ আরও আছে৷ যেমন বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম উঠে আসবে৷ দিল্লির বাসিন্দা বিরাট কোহলি খেলেন বেঙ্গালুরু দলে৷ আবার রাঁচির বাসিন্দা মহেন্দ্র সিং ধোনি খেলেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে৷ এবারে রাহুল বলেন, যখন আইপিএল ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম বা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলাম, তখনই বুঝেছিলাম, বিভিন্ন দলের হয়ে আমাকে খেলতে হবে৷ সেই সময় কোহলিও বেঙ্গালুরু দল আর ধোনিভাই চেন্নাইয়ের হয়ে খেলছিলেন৷ কেউই নিজের রাজ্য বা শহরের হয়ে আইপিএল ক্রিকেট খেলতে পারেননি৷ এই ব্যাপারটা প্রথম থেকেই দেখা গিয়েছিল৷ তবে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে দীর্ঘদিন খেলার কথা ভাবতাম৷ যদিও আমরা সবাই চাই যত বেশি সম্ভব খেলার সুযোগ পাওয়া যাবে, ততই নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া যাবে৷ তবে এটা মনে রাখতে হবে, বিভিন্ন দলের হয়ে খেলা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়৷ এই ব্যবস্থাকে অবশ্যই মানিয়ে নিতে হয়৷
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুর হয়ে লোকেশ রাহুল ৩৯৭ রান করেছিলেন৷ তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল চারটি অর্ধশতরান৷ তবুও তাঁকে পরের মরশুমে কোহলিরা দলে রাখেননি৷ এই আক্ষেপ এখনও রয়ে গিয়েছে লোকেশ রাহুলের মনে৷ হয়তো তারই বহিঃপ্রকাশ এখন
ঘটতে চলেছে৷