ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বেশ এগিয়ে চলেছিল লিভারপুল। একের পর এক ম্যাচ জিতে লিগ টেবলে তারা ভালো জায়গা তৈরি করে নেয়। গত ম্যাচে ড্র করলেও লিগ টেবলে তাদের স্থান বদল হয়নি। কিন্তু এবারে আটকে গেল নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছে। কোনওক্রমে হার বাঁচিয়ে লিভারপুল ড্র করল খেলা। দিয়োগো জোটার গোলে হার বাঁচাল আর্নে স্লটের ক্লাব। অন্য দিকে, ব্রেন্টফোর্ডের বিরুদ্ধে দু’গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ বেলায় এসে ড্র করল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।
চলতি মরসুমে লিভারপুল মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছে। সেটি ঘরের মাঠে এই ফরেস্টের বিরুদ্ধেই। ফিরতি লিগেও হারতে পারত লিভারপুল। প্রতিপক্ষ দল যেভাবে চাপ সৃষ্টি করে লিভারপুলকে একেবারে চাপের মধ্যে রেখে দিয়েছিল, তাতে আশা করা গিয়েছিল, নটিংহ্যাম ফরেস্ট জিতে যাবে। ক্রিস উডের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ফরেস্ট। প্রথম পর্বে অনেক বেশি আক্রমণ গড়ে তুলেছিল ফরেস্ট দল। সেই তুলনায় লিভারপুল বিপক্ষ শিবিরে সেইভাবে হানা দিতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার গতি বদল করে সমতা ফিরিয়ে আনেন জোটা। ফরেস্টের ফুটবলাররা দীর্ঘদিন বাদে দারুণ খেলেছেন। এখন নটিংহাম ফরেস্ট ইপিএলে দ্বিতীয় স্থানে। তবে অতীতে দু’টি ইউরোপিয়ান কাপ (অধুনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেছে তারা। সম্প্রতি ব্রায়ান ক্লাফের কোচিংয়ের ৫০তম বর্ষ পালন করেছে । এই ক্লাফের আমলেই তারা দ্বিতীয় সারির ক্লাব থেকে ১৯৭৮ সালে ইপিএল জিতেছিল এবং তার পর দু’বছর পর পর দু’বার ইউরোপিয়ান কাপ জিতে নজির কেড়ে নিয়েছিল।
এ দিকে, ইপিএলে টানা ছ’টি হারের পর লেস্টার সিটি এবং ওয়েস্ট হ্যামকে হারিয়ে ছন্দ ফিরে পেয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। মঙ্গলবার রাতে আবার পুরনো ফর্মে ফিরল ম্যান সিটি। দ্বিতীয়ার্ধে ফিল ফোডেনের জোড়া গোলে ২-০ এগিয়ে গিয়েছিল সিটি। ম্যাচের তখন ১২ মিনিট বাকি। প্রতিপক্ষ ওয়েস্টহ্যাম গোল করে খেলা সমতা ফিরিয়ে আনেন। দলের তবে ৮২ মিনিটে ইউনে উইসা এবং সংযুক্তি সময়ে ক্রিশ্চিয়ান নরগার্ডের গোলে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির নশ্চিত জয় হাতছাড়া হয়ে গেল। নিশ্চিত তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হয় সিটির।