লেয়নডস্কির গোল বাতিল, বার্সেলোনা হারল

বার্সেলোনা। ফাইল চিত্র

চলতি মরশুমে দ্বিতীয় হারের মুখে পড়ল বার্সেলোনা। রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে হারতে হল ০-১ গোলে। আর অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনাল ও চেলসির খেলাটি ১-১ গোলে শেষ হয়। তবে এদিন বার্সেলোনা শুরুটা ভালোই করেছিল। এমনকি ম্যাচের ১৩ মিনিটেই গোল করেছিলেন রবার্ট লেয়নডস্কি। চলতি মরসুমে বার্সেলোনার হয়ে খুব ভাল ফর্মে রয়েছেন পোল্যান্ডের এই স্ট্রাইকার। প্রায় প্রতিটি ম্যাচে গোল করছেন। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিরুদ্ধেও করেছিলেন। কিন্তু ভার প্রযুক্তিতে তাঁর গোলটি বাতিল হয়ে যায়। তার খেসারত দিতে হল বার্সিলোনাকে।

সোসিয়েদাদের বিরুদ্ধে লামিন ইয়ামালকে পায়নি বার্সেলোনা। চোটের কারণে খেলতে পারেননি তিনি। তবুও আক্রমণের ঝড় তুলতে দ্বিধা বোধ করেননি ফুটবলাররা। তার মধ্যেই গোল করেছিলেন লেয়নডস্কি। রেফারি ভার প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানান, লেয়নডস্কি অফসাইডে ছিলেন। খালি চোখে অবশ্য তা মনে হচ্ছিল না। লা লিগায় পুরো ভার প্রযুক্তি ব্যবহার হয় না। সেমি-অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। তাতে ভার-এর মতো নিখুঁত ভাবে সবটা বোঝা মুশকিল। অনেকের মতে, যে রিপ্লে দেখা গিয়েছে তাতে রেফারি সোসিয়েদাদের ডিফেন্ডার নায়েফ আগুয়ের্ডের গোড়ালিকে লেয়নডস্কির জুতো ভেবেছেন। এই নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে।

৩৩ মিনিটের মাথায় গোল করেন সোসিয়েদাদের শেরাল্ডো বেকার। পিছিয়ে পড়ার পর আর গোল করতে পারেনি বার্সেলোনা। এই প্রথম বার মরসুমে কোনও ম্যাচে গোল করতে পারেনি হ্যান্সি ফ্লিকের দল। হারের জন্য নিজেদেরই দায়ী করেছেন বার্সেলোনার মিডফিল্ডার পেদ্রি। তিনি বলেন, ‘ওরা খুব জমাট ফুটবল খেলছিল। এই মরসুমে আমরা প্রতি ম্যাচে গোল করেছি। কিন্তু এই ম্যাচে পারিনি। দিনটা আমাদের খারাপ গিয়েছে। একটা দিন এমন হতেই পারে। কিন্তু নিজেদের দোষেই আমরা হেরেছি। আরও ভাল খেলা উচিত ছিল।’


এই জয়ের পরেও লা লিগায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে বার্সেলোনা। ১৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩৩। দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। ১২ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট তাদের।

অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগে লন্ডন ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল আর্সেনাল ও চেলসি। দু’দলের কাছেই সুযোগ ছিল লিগের লড়াইয়ে এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু ১-১ গোলে শেষ হল খেলাটি। প্রথমার্ধে কোনও গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটের মাথায় আর্সেনালকে এগিয়ে দেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলি। যদিও সেই লিড বেশি ক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি আর্সেনাল। ৭০ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসাবে নামা পেদ্রো নেটো। আর্জেন্টিনার ফুটবলার এঞ্জো ফের্নান্দেসের পাস ধরে গোল করেন তিনি।

এই ম্যাচের পর দু’দলই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ল। ১১ ম্যাচে আর্সেনাল ও চেলসি দু’দলেরই পয়েন্ট এখন ১৯। অবশ্য গোলপার্থক্যে এগিয়ে চেলসি। ১১ রাউন্ডের পর প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে লিভারপুল। তাদের পয়েন্ট ২৮। দ্বিতীয় স্থানে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। তাদের সংগ্রহে ২৩ পয়েন্ট।