ভারতবর্ষের প্রাচীনতম মার্শাল আর্ট থাংটা। মণিপুরে খুব জনপ্রিয়। এখন যারা বাংলায় ছড়িয়ে পরেছে। কথা বলছিলাম দার্জিলিং জেলা থাংটা অ্যাসোসিয়েশনের প্রশিক্ষক সেবক বিশ্বকর্মার সঙ্গে। উনি বললেন, থাংটা খেলো ইন্ডিয়াতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রাচীন যুগে থাংটা চাল তরোয়াল সহযোগে খেলা হত। মূলত: জতু জানোয়ারের হাত থেকে রক্ষা পেতে ঢাস তরোয়াল নিয়ে লড়াই হত। এশিয়ান গেমস। অলিম্পিকে পরিবর্তিত নিয়মে খেলা হয়। স্টেজ ওয়ান খেলায় লাঠি ব্যবহার হয়। স্টজ টুতে খেলোয়াড়দের লাঠি দিয়ে ছোঁওয়া হলে পয়েন্ট দেওয়া হয়। অলিম্পিক, এশিয়ান গেমসে ঢাল তরোয়াল ব্যবহার করা যায় না। কিছুদিন আগে স্থানীয় কমিউনিটি হলে রাজ্য থাংটা আর্টের আসর বসেছিল।
দার্জিলিং জেলা ৭টি সোনার পদক গলায় ঝুলিয়েছিল। সেবক বিশ্বকর্মা জানালেন মণিপুরের জি প্রেমকুমার ৭০টি বসন্ত পার করা কোচ হলেও ঔষধ খাননি। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। এমনই তিনি শারীরিকভাবে সক্ষম মানুষ তবে থাংটার প্রচার কম। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এই খেলায় অংশ গ্রহণ করছে। থাংটা খেলা মেয়েদের আত্মরক্ষা শেখায়।
কোচ জানালেন, সারা বাংলা থেকে দশ লক্ষ মহিলা খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। অভিভাবকরা থাংটা শিবিরে পাঠাচ্ছেন। থাংটার সরগর হওয়ার জন্যে। অভিভাবকদের সহযোগিতা না পেলে এতদুর এগুনো সম্ভব হত না।
মণিপুরের থাংটাকে বাংলার ছেলেমেয়েরা আপন করে নিয়েছে। অলিম্পিক এশিয়ান গেমস থেকেও থাংটায় বাংলা তথা ভারতের ঝুলিতে পদক আসতে পারে।
এখানে দু-বেলা অনুশীলন হয়। কোচ নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে। মণিপুরের প্রশিক্ষক এইচ প্রেমকুমার বিশ্বাস করেন স্থানীয় ও বাংলার ছেলেমেয়েরা মেডেল জিততে পারে। অনুশীলনে ফাঁকি দেওয়া চলবে না। যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের ছায়াযুদ্ধ দেখতেও চিত্তাকর্ষক।