• facebook
  • twitter
Tuesday, 29 April, 2025

কোহলির ঝলসে ওঠা ব্যাটে বেঙ্গালুরুর জয়

টস জিতে আরসিবির অধিনায়ক প্রথমে সঞ্জুদের ব্যাটিংয়ে পাঠান।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

চলতি আইপিএলে ‘অ্যাওয়ে হিরো’ হিসেবে ছাপ রাখছে আরসিবি। জয়পুরের সওয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে জিতল বেঙ্গালুরু। জয়ের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ কিং কোহলির আরসিবির। পরিবেশ রক্ষার সচেতনতায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আইপিএলের প্রতি মরসুমে কোনও না কোনও ম্যাচে সবুজ রংয়ের জার্সি পরে। এই জার্সি পরে আরসিবির খেলার রেকর্ড খুব ভালো নয়। তবে জয়পুরে বিরাটদের গ্রিন জার্সি পয়া প্রমাণিত হল। সঞ্জু স্যামসনের দলের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটের বড় জয় বেঙ্গালুরুর। কোহলি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ডও গড়েছেন। তবে এই ম্যাচে সবকিছু যেন ছাপিয়ে গিয়েছে, ক্যাচ মিস।

রাজস্থানের ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ম্যাচে পারফর্ম করতে পারেননি। রবিবার ঘরের মাঠে পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। টস জিতে আরসিবির অধিনায়ক প্রথমে সঞ্জুদের ব্যাটিংয়ে পাঠান। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই ক্রুণাল পান্ডিয়া ফেরান সঞ্জু স্যামসনকে। ১৫ রান করে মাঠ ছাড়েন পিঙ্ক আর্মির নেতা। এরপর রিয়ান পরাগের সঙ্গে জুটি বাঁধেন যশস্বী। ১৪তম ওভারে যশ দয়াল তুলে নেন রিয়ানের উইকেট। ৩০ রান করেন তিনি। এরপর ধ্রুব জুরেলের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান যশস্বী। ৪৭ বলে তিনি ৭৫ করেন। আর ধ্রুব অপরাজিত ৩৫ রানে। আরসিবির হয়ে ১টি করে উইকেট ভুবনেশ্বর কুমার, যশ দয়াল, জশ হ্যাজলউড ও ক্রুণাল পান্ডিয়ার। ক্রিকেটে একটা কথা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়, ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস।’ রবিবার জয়পুরে দুই দলের ফিল্ডিং মোটেও ভালো হয়নি। এক, দুই, তিন, চার নয় মোট ৯ বার ক্যাচ মিস করেছেন দুই দলের ফিল্ডাররা। প্রথমে আরসিবির ফিল্ডাররা ৪ বার ক্যাচ ফসকান। এরপর আরসিবির ইনিংস চলাকালীন পিঙ্ক আর্মির ফিল্ডাররা ৫ বার ক্যাচ ছাড়েন। ক্যাচ মিসের বন্যা না বয়ে গেলে ম্যাচের ফল অন্য হতে পারত।

রাজস্থানের দেওয়া ১৭৪ রানের টার্গেট পূরণ করতে আরসিবিকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। একটা সময় মনে হচ্ছিল ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলিই ম্যাচ ফিনিশ করে আসবেন। এই জুটি এগোচ্ছিল সেই দিকেই। তবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে কুমার কার্তিকেয় ১০ উইকেটে আরসিবির জয় হতে দেননি। নবম ওভারে সল্টকে (৬৫) ফেরান কার্তিকেয়। এরপর কোহলির সঙ্গে জুটি বাঁধেন আরসিবির ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা দেবদত্ত পাড়িক্কাল। টি-২০ কেরিয়ারে এই নিয়ে হাফসেঞ্চুরির সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেললেন বিরাট। শেষ অবধি তিনি ৪৫ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। আর তাঁর সঙ্গে দেবদত্ত ২৮ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৫ বল বাকি থাকতেই জয় আরসিবির। ম্যাচের সেরার পুরস্কার যায় সল্টের ঝুলিতে।