টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিরাট কোহলি অবসরের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পরে মানসিক দিক দিয়ে তিনি আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরে আসার কথা ভাবতে শুরু করেছেন। তাহলে কি অবসর ভেঙে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলবেন? এমনই জল্পনা হঠাৎ করে শুরু হয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেটে। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। ট্রফি জেতার পরই ভারতীয় দল থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন ত্রয়ী। রোহিত শর্মা ও রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে অবসর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলিও। সেই তিনিই কি না আবার ফিরে আসার কথা ঘোষণা করে দিলেন। আসলে একটা স্বপ্ন তাঁকে তাড়াচ্ছে। সেই স্বপ্নের কাছাকাছি যদি পৌঁছতে পারে ভারত, বিরাটকে আবার জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে দেখা যাবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে বিরাট কোহলির ভূমিকা ছিল দেখার মতো। দেশে ফিরে ক’টা দিন বিশ্রাম নিয়েছেন। এরই মধ্যে আরসিবিতে যোগ দিয়েছেন বিরাট। সেই তিনিই এক অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা বলেছেন। যদিও তা কিছুটা রসিকতার ছলেই। বিরাট বলেছেন, ‘যদি ভারত ২০২৮ সালের অলিম্পিকের ফাইনালে উঠতে পারে, তা হলে অবসর ভেঙে ফিরে আসার কথা ভাবব। অন্তত একটা ম্যাচ খেলব দেশের হয়ে। অলিম্পিক পদক জয় চিরস্মণীয় একটা ব্যাপার হয়ে থাকবে।’ রসিকতাই করেছেন বিরাট। তিন বছর পর তাঁর বয়স হবে ৩৯ বছর। ফিটনেস নিয়ে থাকবে প্রশ্ন। আর শুধু ফাইনালের জন্য তাঁকে অলিম্পিক ফাইনাল খেলার সুযোগ করে দেওয়া হবে, এমনটাও সহজ ভাবনা নয়। কিন্তু এই কথা মধ্যে দিয়ে বিরাট অলিম্পিক পদকের প্রতি তাঁর আকাঙ্খা তুলে ধরেছেন। যে কোনও খেলোয়াড়ের কাছে অলিম্পিকে পদক পাওয়াটা বড় ব্যাপার। তাহলে কি সেই লক্ষ্যেই কোহলি নতুন ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন?
ফিটনেসের প্রশ্ন বিরাট অবশ্য আপোসহীন। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার তিনি। নিজেকে ফিটনেসের তুঙ্গে কেন তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বিরাটের কথায়, ‘কয়েকটা কঠিন সফরের পর আমি বুঝতে পেরেছিলাম, অন্য ক্রিকেটাররা আমাদের থেকে অনেক বেশি সময় ধরে মাঠে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। টিমের দিক থেকে ভাবলে ব্যাপারটা তেমন আশ্চর্যের নয়। কিন্তু আমার মাকে বোঝানো কঠিন ছিল। মায়ের মনে হয়েছিল, আমি দুর্বল, অসুস্থ। আমি মাকে বলি, আমার ট্রেনিং পদ্ধতি নিয়ে সারা বিশ্ব কথা বলে। আমি অসুস্থও নই। মাঠে আরও বেশি সময় দিয়ে শরীরটাকে চাঙ্গা করে রাখতে চাই। তাই যে কোনও ক্রীড়াবিদদের কাছে শারীরিক ফিটনেসটাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।’
সত্যিই যদি বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরে আসেন, তাহলে তরুণ ক্রিকেটাররা দারুণভাবে উৎসাহিত হবেন। তার প্রধান কারণ হল, অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শ উদীয়মান ক্রিকেটারদের কাছে বড় প্রাপ্তি হবে। তিনি যতক্ষণ মাঠে থাকেন, ততক্ষণ সারামাঠে খেলোয়াড়দের বোঝানোর চেষ্টা করেন, কীভাবে প্রতিপক্ষ দলের সঙ্গে লড়াই করতে হবে।