উত্তরাখণ্ডে মঙ্গলবার থেকে শুরু হেয় গেল জাতীয় গেমস প্রতিযোগিতা। এবারের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবার জন্য বাংলা থেকে একটা বড় দল রওনা দিয়েছে। সেই দলের মধ্যে খো খো ও মহিলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা কলকাতা থেকে রওনা দেন ছত্তিশগড়ের উদ্দেশ্যে। কিন্তু ৩৬ ঘণ্টা যন্ত্রণার মধ্যে কাটাতে হলো ট্রেনে। এই দলে মোট ৩৬ জন খেলোয়াড় ছিলেন। ৩৬ জনের মধ্যে মাত্র ৬ জনের আসন সংরক্ষিত ছিল। আর অবশিষ্ট খেলোয়াড়দের জন্য কোনও জায়গা ছিল না। তাই তারা ট্রেনের কামরার মধ্যে এদিক ওদিক ও আবার কখনও শৌচাগারের সামনে বসে ও শুয়ে থাকতে হয়েছে সারারাত ধরে। নানা সমস্যার মধ্যে তাদের পড়তে হয়। কখনও দেখা গিয়েছে একটা সিটে ঠাসাঠাসি করে ৫-৬ জন বসে রয়েছেন। এইভাবে রাত কাটানোর পরে খেলোয়াড়রা কিভাবে ভালো খেলা উপহার দেবে এই প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি খেলোয়ড়রা বলতে চেষ্টা করেছেন সংগঠকরা যদি আগে থেকে কিছু চিন্তা করতেন তাহলে এইভাবে যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে রাত অতিবাহিত করতে হত না।
এ ব্যাপারে রাজ্য খো খো সংস্থার সভাপতি কমলেশ চ্যাটার্জি বলেন, এই ধরনের ঘটনা হয়তো নতুন নয়। কিন্তু বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা যদি সচেতন হতেন তাহলে এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হত না খেলোয়াড়দের। আসলে কর্মকর্তারা যদি রেলওয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন তাহলে আসন আরও বেশি সংরক্ষিত করা যেত। তিনি আরও বলেন, আমি সচিব থাকা কালীন এই ধরনের প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার আগে খেলোয়াড়দের সবরকম খোঁজখবর নিয়ে একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করতাম যাতে কোনও রকম সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়। সেই অভাবটা হয়তো এবারে দেখা দিয়েছে। রাজ্য খো খো সংস্থার সচিব কল্যাণ চ্যাটার্জি বলেন, বিওএ-র সচিব জহর দাসের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি টিকিটের ব্যাপারেও বলেছিলেন কোনওরকম অসুবিধা হবে না। কিন্তু সেই অসুবিধার মধ্যেই পড়তে হল খেলোয়াড়দের। হয়তো তিনি এই ব্যাপারটা হালকা চালে নিয়েছিলেন। তবে খেলোয়াড়রা ভালো খেলার পক্ষেই থাকবেন এই বিশ্বাস আছে।
বিওএ-র সচিব চন্দন রায়চৌধুরি বলেন, এ ব্যাপারটা নিয়ে সে রকম কোনও সমস্যা হবে না। ইতিমধ্যেই খেলোয়াড়দের যাতে আর কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। বিওএ-র সহ সভাপতি রূপেশ কর বলেন, টিকিটের ব্যাপারটা দেখভাল করতে হয় রাজ্য সংস্থাকেই। তারা বিওএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকিটের সংরক্ষণের ব্যাপারটা জানাতে পারত। হয়তো একটা সুরাহার পথ খুঁজে বার করা যেত।