সপ্তাহের শেষে ভারতীয় দলের জন্য সুখবর চলে এল। দ্বাদশতম আইপিএল প্রতিযােগিতায় চেন্নাই সুপার কিংস দলের হয়ে খেলার সময় ফিল্ডিং করতে গিয়ে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান কেদার যাদব।
বিশ্বকাপের ঘােষিত দলে তাঁকে রাখা হয়েছিল। সেখানে কেদারের অনুপস্থিতি জাতীয় দলে একটা শূন্যস্থানের তৈরি করবে সেটা অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন। কাঁধে চোট লাগার পর চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সি গায়ে আর মাঠে নামতে দেখা যায়নি কেদার যাদবকে। তবে, তাঁর চোট যে গুরুতর ছিল সেটা জানানাে হয়েছিল। এবং সংশয় দেখা গিয়েছিল তাঁর বিশ্বকাপের খেলা নিয়ে।
২২ মে ভারতীয় দল লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। সেই ফ্লাইটে কেদারকে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় এবং অনেক প্রশ্ন থাকলেও, শুক্রবার ভারতীয় ক্রিকেট বাের্ডের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় কেদার যাদব পুরােপুরি ফিট এবং দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বিশ্বকাপের আসরে খেলতে নামার জন্য।
চেন্নাই সুপার কিংসের রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে খেলার সময় কেদার যাদবের চোট লেগেছিল, তারপর থেকে তিনি ভারতীয় দলের ফিজিও প্যাট্রিক ফারহাতের তত্ত্ববধানে ছিলেন। এবং তিনি তাঁকে চোখে চোখে রেখেছিলেন, এবং তিনি কতটা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন সেটার দিকে নজরও লাগছিলেন।
তবে, শনিবার ভারতীয় দলের ফিজিও প্যাট্রিক ফারহাত যাদবের ফিটনেস রিপাের্ট বাের্ডের কাছে জানান। এবং তারপরই বাের্ড পরিষ্কার জানিয়ে দেয় কেদার যাদব পুরােপুরি ফিট। বিশ্বকাপে খেলার জন্য তিনি ভারতীয় দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে উড়ে যাচ্ছেন।
৩৪ বছর বয়সী কেদার যাদবের এটাই প্রথম বিশ্বকাপ। তার আগে তাঁর চোট তাঁকে কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছিল। সেখানে কাজের কাজটা তিনি কতটা করতে পারেন এবং কত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন সেটাই দেখার বিষয় ছিল। তবে, যদি কেদার পুরােপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে না পারতেন তা হলে তাঁর বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন যে পুরােপুরি ভেঙে চুড়ে তছনছ হয়ে যেত সেটা আগাম বলা যায়।
এছাড়া কেদারের যা বয়স সেখানে এটাই শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে। কারণ, আস্তে আস্তে বয়স বাড়বে সেখানে তাঁর খেলা ভবিষ্যতে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে, কারণ তরুণ ক্রিকেটাররা যেভাবে উঠে আসছে সেখানে তাঁর জাতীয় দলে না খেলাটাই অনেকটা নির্ভর করছে।
এদিকে বিশ্বকাপ দলে কেদার যাদবের ফিরে আসায় ভারতীয় দলের শক্তি অনেকটাই বেড়ে গেল সেটা আগাম বলা যায়। কারণ কেদার যাদব যেকোনাে জায়গায় যেমন ব্যাটিং করতে পারেন ঠিক তেমনই তিনি দরকারী সময়ে বল করতে এসে উইকেট তুলে নিয়ে কাজের কাজটা করে দেন।
কার্যত ধােনির বুদ্ধিতেই কেদার বল হাতে সাফল্য পান সেটা তিনিও স্বীকার করেছেন। কেদারের উপস্থিতি শুধু একজন ব্যাটসম্যান হিসাবে একজন বােলার হিসাবেও যে কাজে লাগবে সেটা আগাম বলা যায়। আর কেদার যাদবও প্রথমবার বিশ্বকাপের আসরে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার জন্য পুরােপুরি প্রস্তুত সেটা এখন থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায়।