• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নিউজিল্যান্ডের কুকস্ট্রেট জয় পেলেন কালনার মেয়ে সায়নী

নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান– অবশেষে বড়ো ধরনের বিপদের ঝুঁকি নিয়েও মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের কুকস্ট্রেট প্রণালী জয় করলেন ‘বাংলার জলকন্যা’ সায়নী দাস৷ সায়নী পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা শহরের বাসিন্দা তার জয়ের খবরে কালনা জুড়ে উচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে৷ ইতিমধ্যে সায়নী ইংলিশ চ্যানেল, রটনেস্ট, ক্যাটালিনা ও মলোকাই চ্যানেল জয় করেছেন৷ সপ্তসিন্ধু জয়ই তার লক্ষ্য৷ তবে কুকস্ট্রেট প্রণালী পার করার ধকল

নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান– অবশেষে বড়ো ধরনের বিপদের ঝুঁকি নিয়েও মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের কুকস্ট্রেট প্রণালী জয় করলেন ‘বাংলার জলকন্যা’ সায়নী দাস৷ সায়নী পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা শহরের বাসিন্দা তার জয়ের খবরে কালনা জুড়ে উচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে৷ ইতিমধ্যে সায়নী ইংলিশ চ্যানেল, রটনেস্ট, ক্যাটালিনা ও মলোকাই চ্যানেল জয় করেছেন৷ সপ্তসিন্ধু জয়ই তার লক্ষ্য৷ তবে কুকস্ট্রেট প্রণালী পার করার ধকল ও তীব্র ঠান্ডায় সায়নী অসুস্থ বলে জানিয়েছেন তার বাবা৷
কালনা শহরের বারুইপাড়ার বাসিন্দা সায়নী৷ পাড়ার পুকুর, কখনও গঙ্গায় ও সাধারণ সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতেন৷ ২০১৭ সালে ইংলিশ চ্যানেল জয় করেন৷ সপ্তসিন্ধু জয়ের লক্ষ্যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে কঠোর অনুশীলন করেন৷ ২০১৮সালে অষ্ট্রেলিয়ার রটনেস্ট চ্যানেল, ২০১৯সালে আমেরিকার ক্যাটালিনা জয় করেন৷ ২০২২ সালে এশিয়ার প্রথম মহিলা সাতারু হিসেবে আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মলোকাই চ্যানেল জয় করেন৷ দেশের জাতীয় পতাকা তুলে ধরেন আমেরিকার মাটিতে৷ এবার বিপদসঙ্কুল নিউজিল্যান্ডের কুকস্ট্রেট প্রণালী জয়ের লক্ষ্য নিয়ে গত ১৫ মার্চ পাড়ি দেন৷ সোমবার গভীর রাতে কুকস্ট্রেট প্রণালী জয়ে জলে নামেন সায়নী৷ প্রবল ঠান্ডায় জল কেটে এগোতে হয় তাকে৷

২৬ কিলোমিটার প্রণালী হলেও সায়নীকে ৩০ কিলোমিটারের বেশি সাঁতার কেটে জয়ের টাচ পয়েন্টে পৌঁছতে হয়৷ সময় লাগে ১১ ঘন্টা৷ দীর্ঘ জলপথ পাড়ি ও নানা বিপদের ঝুঁকি নিয়েও পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জয় ছিনিয়ে আনেন৷ জয়ের পর শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন সায়নী৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনায় করছেন অনেকে৷ সায়নীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক রাধেশ্যাম দাস, মা গৃহবধূ রুপালি দাস মেয়ের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে রয়েছেন৷ মেয়ের পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন৷ তার বাবা জানান, নিউজিল্যান্ডে এখন প্রচণ্ড ঠান্ডা৷ সাঁতারের শুরু থেকে ঝোড়ো হাওয়া দিচ্ছিল৷ সমুদ্র বেশ উত্তাল ছিল৷ প্রচণ্ড ঢেউ ঠেলে ওকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে হয়েছে৷ সায়নীর সাফল্যে খুশি দিদি রিম্পা বসাক বলেন, খুবই টেনশনে ছিলাম৷ জয়ের পর বোনের সঙ্গে একবার কথা হয়েছে৷ ও শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ৷ কথা বলতে সমস্যা হচ্ছিল৷