কালীঘাট ক্লাব চমক দিয়ে ঋদ্ধিমান, মনোজ ও অনুষ্টুপকে সই করিয়ে নিল

ঋদ্ধিমান সাহা (ছবি : AFP)

ঘরোয়া ক্রিকেটে একটা সময় ভারতের সেরা ক্রিকেটাররা কালীঘাট ক্লাবের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কালীঘাটে খেলার অর্থই বাংলা দলে বড় জায়গা করে নেওয়া। কালীঘাটের হয়ে কে না খেলেননি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা। খেলেছেন পদ্মশ্রী পঙ্কজ রায় থেকে শুরু করে অম্বর রায়, সুব্রত গুহ, সম্বরন ব্যানার্জি, গোপাল বোস সহ আরও অনেকে। তাই এই ক্লাবের হয়ে খেলার আলাদা একটা গর্ব আছে।

তাই এবারে কালীঘাট ক্লাব ক্রিকেটে চমক দেবার জন্য শনিবার সই করিয়ে নিলেন ভারতের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা, অনুষ্টুপ মজুমদার ও বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ তেওয়ারিকে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে মনোজ রাজ্যের ক্রীড়াদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী। এই তিন খেলোয়াড় সিএবিতে গিয়ে কালীঘাটের হয়ে খেলবার জন্য সই করলেন। ঋদ্ধিমান যখন বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা চলে গিয়েছিলেন। তার আগে কালীঘাটের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন। দু’বছর বাদে বাংলায় ফিরে এসে আবারও তাঁর প্রিয় ক্লাব কালীঘাটে খেলবার জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন। একবার ক্রিকেটে পাঁচ মুকুট জিতেছিল কালীঘাট। আসন্ন মরশুমে আবারও সেই নজির গড়তে চাইছেন বাংলার পয়লা সারির ব্যাটসম্যানরা।

বাংলার খেলা না থাকলেও ক্লাবের হয়ে খেলবেন ঋদ্ধিমান ও অনুষ্টুপ মজুমদার। তবে নিয়মিত ভাবে খেলবার জায়গায় নেই মনোজ তেওয়ারি। মনোজের কথায় জানা যায় জুনিয়র ক্রিকেটাররাই দলের হয়ে লড়াই করবেন। যদি দল কোনও টুর্নামেন্টে শেষ চারে বা ফাইনালে দল খেলে তাহলে প্রয়োজনে আমরা খেলতে পারি। তখন অভিজ্ঞতার জন্যই তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য খেলার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যতটা সম্ভব সতীর্থদের সঙ্গে সহযোগিতা করে খেলার চেষ্টা করব। কোনও কিছুর সমস্যা হলে তার সমাধান কিভাবে করা যায় তা পরামর্শ দেব। কালীঘাটের হয়ে খেলবার সুযোগ থাকবে? তার উত্তরে মনোজ বলেন, খেলব বলেই তো সই করেছি। নিশ্চয়ই মাঠে দেখতে পাবেন যখন খেলব। কোনওরকম অর্থের বিনিময়ে এই ক্লাবে খেলবার জন্য সই করিনি। তবে নিয়মিত খেলা সম্ভব হবে না।


ঋদ্ধিমান সাহার পাখির চোখ কালীঘাট ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করা। ঋদ্ধিমান বলেন, এটা ঠিক সব ম্যাচই জিতব এটা নয়। খেলায় হারজিৎ থাকেই। ট্রফি জেতার জন্য চেষ্টা থাকবেই। সতীর্থ খেলোয়াড়দের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করতে হবে। কালীঘাট ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘদিনের আমার সম্পর্ক।

অনুষ্টুপ মজুমদার মনে করেন খেলোয়াড়দের চাপে রেখে কোনও ম্যাচই জেতা সম্ভব নয়। ক্লাবের কর্মকর্তাদেরও একটা সহজ সরল একটা মনোভাব থাকে যা খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করে। এই ভাবনা কালীঘাট ক্লাবের মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায়। কর্মকর্তারা সব সময় খেলোয়াড়দের পাশে থাকেন। এই আন্তরিক পরিবেশ রয়েছে এই ক্লাবের। এবারে সিএবি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন অনুষ্টুপ মজুমদার। অনুষ্টুপ সারাসরি জানিয়ে দিলেন আরজি কর কাণ্ডে মৃত চিকিৎসককে এই পুরস্কার উৎসর্গ করব।