কলকাতা ফুটবল লিগে অপরাজিত থেকে গ্রুপ শীর্ষে পৌঁছগেল ইস্টবেঙ্গল। রবিবার জেসিনের অনবদ্য খেলায় ইস্টবেঙ্গল ২-১ গোলেই পিয়ারলেসকে হারিয়ে প্রমাণ করল খেতাব জয়ের লক্ষ্যে বাজিমাত করতে চায়। গত শনিবার মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে খেলাটি পরিত্যক্ত হয়েছিল। তাই রবিবার ছুটির দিনে লাল হলুদ ব্রিগেডের কোচ বিনো জর্জ কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে প্রথম একাদশে সেরা ফুটবলারদের দলে রেখেছিলেন।
খেলার শুরু থেকেই হিরা মণ্ডল ও জেসিনরা আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে খেলতে থাকেন পিয়ারলেসের বিপক্ষে। এদিন জেসিম সেরা খেলা উপহার দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের পথকে সহজ করে দেন। আসলে প্রতি ম্যাচে গোল করা ও গোল করানোর একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে জেসিনের। তবে এদিন প্রথম পর্বে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের দাপটের সঙ্গে খেললেও গোল করতে পারেননি। মাঝে মধ্যে পিয়ারলেসের ফুটবলাররা পাল্টা আঘাত হানার চেষ্টা করেন। তারও গোল করতে ব্যর্থ হয়। সমর্থকরা ফুটবলারদের উৎসাহিত করলেও, প্রথমপর্বে গোলের দেখা মেলেনি।
দ্বিতীয় পর্বে আক্রমণের গতি বদল করে লাল হলুদ ফুটবলাররা প্রতিপক্ষ দল পিয়ারেলেসের রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। ইস্টবেঙ্গলের ঝোড়ো আক্রমণে প্রতিপক্ষ দলের দূর্গ ভেঙে পড়ে। খেলার ৭৭ মিনিটে জেসিন তিনজন ফুটবলারকে শরীরের ভাঁজে পিছনে ফেলে গোলবক্সে বল বাড়িয়ে দেন মহম্মদ আশিকের উদ্দেশ্যে। সেই সুযোগ থেকে আশিক গোল করতে কোনওরকম দ্বিধা প্রকাশ করেননি। গোল করার পরে আশিক অনেকটা তারকা ফুটবলার রোনাল্ডোর মত সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন। এগিয়ে থাকার পরে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণে আরও তীব্রতা বাড়তে থাকে। সেই আক্রমণ সামাল দিতে গিয়ে পিয়ারলেসের ছন্দপতন ঘটে। খেলার ৮৪ মিনিটে জেসিন টিকে একক কৃতিত্বে দুরন্ত গোল করে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের পথকে (২-০) মসৃন করেন। জেসিনের এই গোলটি অনেকদিন ফ্রেমে শোভা পাবে।
তবে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও পিয়ারলেস আক্রমণ থেকে পিছিয়ে থাকেনি। খেলার ৮৭ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়েছিলেন পিয়ারলেসের ফুটবলার চাইনে। চাইনে সেই বল নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের এক ফুটবলারকে ফাঁকি দিয়ে এবং গোলরক্ষককে টেনে এনে গোল করে (২-১) ব্যবধান কমান। পরবর্তী সমেয়ে খেলার ফলাফলে আর কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে এবারে জেসিনের খেলা দেখে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন। হয়তো তিনি সিনিয়র লাল হলুদ ব্রিগেডে জায়গা করে নিবেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষায়।