আমাদের অনেকের জানা আছে কুস্তি লড়তে শক্তি লাগে। তাই এই ব্যাপারে কথা হচ্ছিল কুস্তিগীর জলপাইগুড়ি জেলার আশিস কুমার শীলের সঙ্গে। উল্লেখযোগ্য রাজ্য গেমসে জলপাইগুড়ি জেলা মোট ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ভারতবর্ষে প্রাচীন যুগ থেকে কুস্তি খুব জনপ্রিয় খেলা। পালোয়ান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন ভীম।
আশিস শীল জানালেন, প্রাচীনকাল থেকে ধীরে ধীরে কুস্তি আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কুস্তিগীরদের নবান্নে ডেকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। কোচবিহার জেলার নন্দন দেবনাথ জলপাইগুড়ি জেলার আশিস শীল-এর মধ্যে অন্যতম। তাঁরা প্রতিমাসে চার হাজার টাকা অনুদান পেয়ে থাকেন। বিশিষ্ট ব্যক্তি সুকুমার রায় কুস্তির প্রচার ও প্রসারে আশিস শীলের ভূমিকার প্রশংসা করলেন। আশিস শীল বললেন, আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে জলপাইগুড়ি জেলার আর আর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ম্যাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিল্লি থেকে ম্যাট আনা হয়েছে। ব্যয়বহুল ম্যাটের দাম পাঁচ হাজার টাকা। কুস্তি অনুশীলনের আগে ম্যাট ধুইয়ে নিতে হয়। আদি গুরু-পবনপুত্র হনুমানের পুজো হয়। স্টেট গেমস ছাড়াও ন্যাশনাল গেমসে বাংলার কুস্তিগীরদের সাফল্য রয়েছে। কলকাতা জলপাইগুড়ি জেলার বারোপেটিয়া, গজলডোবা, ভোরের আলো, ওদলাবাড়ি, পাহাড়পুড় থেকেও কুস্তি শিখতে আসে। রাজ্য কুস্তি আস্যোসিয়েশনের অসিত কুমার সাহা বাংলায় কুস্তির প্রচার ও প্রসারে উল্লেখযোগ্য কাজ করছেন। অসিত সাহার বাবা সুদীপ সাহা ইন্টারন্যাশানাল কুস্তির বিচারক ছিলেন।
এই জেলায় ছেলেদের সঙ্গে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও মেয়েরাও কুস্তি শিখতে আসে। নির্দিষ্ট কোনও কুস্তির আখড়া নেই। সব সময় আখড়া পাওয়া যায় না। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে অনেক শিক্ষার্থী অনুদান পায়নি। প্রত্যেকের আশা রাজ্য ও জাতীয় স্তরে সাফল্য পেয়ে রাজ্য সরকারের অনুদান লাভ করে ঘরের অভাব দূর করবে। জায়গার অভাবে নিয়মিত অনুশীলন হয় না। সমস্যা থাকলেও ওরা এগিয়ে চলেছে। কুস্তিকে ভবিষ্যতে এখানে ইন্ডোর গেম হিসাবে চালু করা হবে।