• facebook
  • twitter
Thursday, 2 January, 2025

আইএসএলের ফিরতি ডার্বি ম্যাচ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে হচ্ছে না

বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে অপারগ, সেকথাও জানিয়ে দিয়েছে। তবে ডার্বি ম্যাচের দিন পরিবর্তন করা হবে কিনা, বা অন্য কোনও শহরে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা, তা নির্ভর করছে আয়োজকদের উপরে। অবশ্য এর আগে মোহনবাগানের সঙ্গে গোয়ার একটি ম্যাচ ভুবনেশ্বরে হয়েছিল।

নিজস্ব চিত্র

আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে আইএসএল ফুটবলে ফিরতি ডার্বি ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস ও ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে না ডার্বি ম্যাচে।

আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত গঙ্গাসাগর চলবে। ওই মেলার আয়োজনে এবং পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের নজর রাখতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি কোনওভাবেই মেলা চলাকালীন জঙ্গিরা যাতে কোনওরকম নাশকতামূলক কাজ না করতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কমপক্ষে ১৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। সেই কারণেই কোনওভাবেই পুলিশ দেওয়া সম্ভব হবে না ডার্বি ম্যাচের দিন। ডার্বি ম্যাচ আয়োজনে কমপক্ষে ১২০০ থেকে ১৫০০ পুলিশ লাগে। ৬০ হাজারেরও বেশি দর্শক মাঠে আসেন খেলা দেখতে। তাই ওই ম্যাচ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে গিয়ে যে পুলিশি ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়, তা দেওয়া সম্ভব হবে না। ইতিমধ্যেই মোহনবাগান ক্লাবের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে ফিরতি পর্বের ডার্বি ম্যাচের আয়োজক মোহনবাগান ক্লাব। তাদের কাছে চিঠি দিয়ে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে অপারগ, সেকথাও জানিয়ে দিয়েছে। তবে ডার্বি ম্যাচের দিন পরিবর্তন করা হবে কিনা, বা অন্য কোনও শহরে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা, তা নির্ভর করছে আয়োজকদের উপরে। অবশ্য এর আগে মোহনবাগানের সঙ্গে গোয়ার একটি ম্যাচ ভুবনেশ্বরে হয়েছিল। এ ব্যাপারে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে এফএসডিএল কর্তৃপক্ষের উপরে। অন্য সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ জানুয়ারি ডার্বি ম্যাচের জন্য দু’টি বিকল্প জায়গার নাম ভাবা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ভুবনেশ্বর ও জামশেদপুর। সেখানে যদি ডার্বি ম্যাচ হয়, তাহলে মোহনবাগানের সমর্থকরা মাঠে উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মোহনবাগানের অভিযোগ, ক্রীড়াসূচি তৈরি হওয়ার সময় তাদের তরফে সব ম্যাচের দিন এবং সময় পুলিশকে জানানো হয়েছিল। পুলিশের অনুমতিও পাওয়া গিয়েছিল।

তবে কেন এখন জানানো হচ্ছে, ম্যাচ হবে না। গত আগস্ট মাসে আরজি কর কাণ্ডকে সামনে রেখে যে আন্দোলন তৈরি হয়েছিল, তার জন্য ডুরান্ড কাপের ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচ শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছিল। এবারেও কি সেই পথে হাঁটবে আয়োজক কর্তৃপক্ষ?