বৃষ্টি ও দানার দাপটে রঞ্জি ট্রফির ক্রিকেটে বাংলা ও কেরলের প্রথম দিনের ম্যাচটা ভেস্তে যায়। রবিবার আম্পায়াররা মাঠ পরীক্ষা করার পরে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সেকেন্ড ক্যাম্পাসে খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। তারপরেই খেলা শুরু হলেও টসে জিতে বাংলা দল ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলার দুরন্ত বোলার ইশান কিশান তিনটে উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে দেয় কেরল দলকে। শেষ পর্যন্ত দিনের শেষে কেরল ৪ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান করে। খেলা হয় মাত্র ১৫.১ ওভার। এই অবস্থা দেখে স্বাভাবিক ভাবে বাংলা শিবিরে স্বস্তি ছিল। কিন্তু সোমবার তৃতীয় দিনে সেই স্বস্তি আর রইল না। কেরলের লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ধারাবাহিক ভাবে দারুন ব্যাট করে বাংলাকে চিন্তার মধ্যে রেখে দিল। দিনের শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে কেরল ২৬৭ রান করেছে।
তৃতীয় দিনে ইশান কিশান ভালো বল করলেও সেইভাবে সতীর্থ বোলাররা কেরলের ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে রাখতে পারেননি। ইশান ৮৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। আর অন্য দুটি উইকেট পেয়েছেন প্রদীপ্ত প্রামানিক ও শুভম দে। শুভমের অভিষেক হল এই ম্যাচের রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে খেলার জন্য। একটা সময় কেরলে ৬ ইউকেট হারিয়ে মাত্র ৮৩ রান ছিল। সেইখান থেকে জলজ ও সলমনরা ২৬৭ রান করে গেলেন। মহম্মদ কাইফ ও শাহবাজ আমমেদরা খুব তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান। কিন্তু তারপরে বাংলার বোলাররা কেরলকে আর সেইভাবে ভয় দেখাতে পারেননি। কেরলের অধিনায়ক শচিন বেবি ও অক্ষয় চন্দ্রন বড় জুটি গড়ে ছিলেন। এর পরেই রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে অন্যতম ধারাবাহিক ক্রিকেটার জলজ সাক্সেনার দাপট দেখতে পাওয়া গেল। একটা সময় বাংলার আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিল।
কিন্তু জলজ ও সলমন নিজার জুটি সেই আত্মবিশ্বাস ভেঙে চুরমার করে দেন। জলজ ব্যক্তিগতভাবে ৮৪ রান করেন। তার পরে সলমন ও আজাহারউদ্দিন জুটি বেঁধে কেরলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যান। ক্রিজে রয়েছেন সলমন ৬৪ ও আজাহারউদ্দিন ৩০ রানে। বুধবার ম্যাচের শেষ দিন তাই পরিস্কার করে বলতে পারা যায় কোনও দলই জেতার জায়গায় নেই। তাই খেলাটি অমীমাংসিত ভাবে শেষ হবে। যদি খুব তাড়াতাড়ি কেরল দলকে আউট করে দিতে পারে বাংলা বোলাররা তাহলে তার জবাবে বাংলার ব্যাটসম্যানরা একদিনের ক্রিকেট খেলার মতো রান তুলে প্রথম ইনিংসে টপকে যেতে পারলে ৩ পয়েন্ট আসবে।