আইলিগে নামার আগে বিপত্তি, মহমেডান থেকে সরতে পারে ইনভেস্টর

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র (Photo: Getty Images)

আইলিগে নামার আগের আগেই কলকাতার তিনপ্রধানের মধ্যে অন্যতম মহমেডান স্পাের্টিং ক্লারে ওপর কালাে মেঘের রাশি ঘােরাফেরা করতে শুরু করেছে। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই সম্পর্কে টানাপােড়েন। আই লিগ শুরু হওয়ার আগেই মহমেডান স্পাের্টিংয়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছে তাদের ইনভেস্টর ‘বাঙ্কারহিল’। মূলত চূড়ান্ত মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়ার জন্যই এমন চরম সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সাদা কালাে শিবিরের নতুন ইনভেস্টর।

গত বছরের ৫ অক্টোর ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি পাঁচতারা হােটেলে বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে এই নতুন সম্পর্কের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। নতুন ইনভেস্টরকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছিল শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাবটি। কিন্তু কিছু কর্তার চুড়ান্ত অপেশাদার মনােভাবের জন্যই শেষ পর্যন্ত মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে ‘বাঙ্কারহিল’- এর কর্তারা।

‘বাঙ্কারহিল’র এক কর্মকর্তা জানান, ফুটবলের স্বার্থে আমরা মহমেডান ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। সেই জন্য পঞ্চাশ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ক্লাবে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়ােগ করেছিলাম। কিন্তু তিন মাস কেটে গেলেও ক্লাব কর্তারা এখনও চূড়ান্ত চুক্তিতে সই করেননি। ফলে আমাদের পক্ষে আর বিনিয়ােগ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা ক্লাবের পক্ষে আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছি।


আগামি ১৯ জানুয়ারি সুদেভা এফসি-র বিরুদ্ধে আই লিগের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে সাদা-কালাে বাহিনী। ইতিমধ্যেই হেড কোচ হােসে হেভিয়া ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শঙ্করলাল চত্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করছেন জামাল ভুয়া, ফাতাওরা। এর মধ্যেই ইনভেস্টর সরে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা। ফলে কোচিং স্টাফ থেকে দেশি-বিদেশি ফুটলারদের ভবিষ্যত অন্ধকারে।

এদিকে ইনভেস্টরের এমন দুমকিতে বেশ চাপে ক্লাব সচিব ওয়াসিম আক্রম ও ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস। তবে কেউই এখনি ইনভেস্টবের দিকে আঙ্গুল তুলতে নারাজ। চেয়ারে বসার পরেই ইনভেস্টর নিয়ে এসে ক্লাবকে কর্পোরেট রূপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সচিব ওয়াসিম আক্ৰম ও ফুটবল দীপেন্দু বিশাস। কিন্তু তিন মাস যেতেই সম্পর্কে ভাঙ্গন। সাদা-কালাে শিবিরের কিছু অপেশাদার কর্তাদের জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হল। ফলে ময়দানের পুরােনাে এই ক্লাবটির ভবিষ্যত নিয়ে এখন ধোয়াশা দেখা যাচ্ছে সেটা বলাই বাহুল্য।