টেবল টেনিসে ভারতের হতাশার দিন

প্যারিস— প্যারিস অলিম্পিক্সে দ্বাদশ দিনে ভারতের কাছে যেন স্বপ্নভঙ্গের অধ্যায়। প্রথমেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল ভারতের কুস্তিগির ভিনেশ ফোগতকে নিয়ে। ৫০ কেজি বিভাগের কুস্তির ফাইনালে লড়াই করার আগেই তাঁর নাম বাতিল হয়ে গেল বাড়তি ওজনের জন্য। প্রথম ধাক্কা খেতেই তারপরেই আবার ব্যর্থতা চোখে পড়ল। ভিনেশ ফোগতের পরিবর্তে ৫৩ কেজি বিভাগের কুস্তিতে অংশ নিয়েছিলেন অন্তিম পাঙ্ঘাল। তিনিও হতাশ করলেন প্রথম রাউন্ডেই। আর ভারতীয় টেবলটেনিস দল এবারে চলতি অলিম্পিক্স সফর শেষ করল খালি হাতে।

প্রথমে আশা করা গিয়েছিল অনুর্ধ্ব ২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অন্তিম পাঙ্ঘাল হয়তো পদক জয়ের লক্ষ্যে বড় পদক্ষের রাখবেন। এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক আসে তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু অলিম্পিক্সে প্রথম রাউন্ডেই তুরস্কের জেইনেপ ইয়েথগিলের কাছে বিশ্রীভাবে হারলেন। ০-১০ স্কোর করে ভারতীয় প্রতিনিধিকে উড়িয়ে দেন তুরস্কের কুস্তিগির। অন্যদিকে গত মঙ্গলবারে চিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় পুরুষ টেবলটেনিস দলের সফর শেষ হয়ে গিয়েছে হেরে গিয়ে। মহিলাদের কোয়ার্টার ফাইনালে মনিকা বাত্রা, শ্রীজা আকুলারা পৌঁছলেও তাঁরা জার্মানির বিরুদ্ধে কোনও লড়াইয়ে সেভাবে থাকতে পারলেন না।

জার্মানির কাছে তাঁদের হার হল ১-৩ গেমে। ডাবলসের প্রথম ম্যাচে অর্চনা কামাথ ও শ্রীজা আকুলা লড়াইয়ে নেমেছিলেন। শ্রীজা ও অর্চনা প্রথম গেমে ৫-১১ পয়েন্টে পরাস্ত হন। কিন্তু দ্বিতীয় গেমে ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রীজা ও অর্চনা ১১-৮ পয়েন্টে জয় তুলে নেন। তৃতীয় ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে হার স্বীকার করতে হয় ভারতীয় জুটিকে ১০-১২ পয়েন্টে। চতুর্থ গেমে শ্রীজা ও অর্চনাকে হারতে হয় ৬-১১ পয়েন্টে। সিঙ্গলসে মনিকা বাত্রা প্রথম গেম জিতলেও পরের তিনটি গেমে হতাশ করেন। অর্থাৎ হারতে হয়। অর্চনা দুরন্ত লড়াই করেও ম্যাচ ধরে রাখতে পারেননি। তিনি ১৯-১7, ১-১১, ১১-৫ ও ১১-৯ পয়েন্টে হেরে যান। শ্রীজা সরাসরি হেরে যাওয়ার পরেই ভারতের প্রতিনিধিদের সেমিফাইনালে খেলার আশা শেষ হয়ে যায়।