• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভারতীয় মহিলা ফুটবলে ১৬ হাজারের ইতিহাস

নিজস্ব প্রতিনিধি— ভারতীয় মহিলা ফুটবলে এক অবিশ্বাস্য ইতিহাস তৈরি হল৷ ভাবতেও অবাক লাগছে ফুটবলের প্রতি এত আগ্রহ মেয়েদের দেখা যাচ্ছে৷ যার ফলে মহিলা ফুটবলের কদর সর্বত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে৷ একটা সময় এই মহিলা ফুটবলারদের নিয়ে নানারকম আষাঢে় গল্প তৈরি হত৷ কিন্ত্ত সেই গল্প আর এখন কেউই করতে পারবেন না৷ মহিলা ফুটবলাররা ভারতের মানচিত্রে একটা বিশেষ

নিজস্ব প্রতিনিধি— ভারতীয় মহিলা ফুটবলে এক অবিশ্বাস্য ইতিহাস তৈরি হল৷ ভাবতেও অবাক লাগছে ফুটবলের প্রতি এত আগ্রহ মেয়েদের দেখা যাচ্ছে৷ যার ফলে মহিলা ফুটবলের কদর সর্বত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে৷ একটা সময় এই মহিলা ফুটবলারদের নিয়ে নানারকম আষাঢে় গল্প তৈরি হত৷ কিন্ত্ত সেই গল্প আর এখন কেউই করতে পারবেন না৷ মহিলা ফুটবলাররা ভারতের মানচিত্রে একটা বিশেষ জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন৷

তাই দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মেয়েরা ছুটে আসছেন মাঠে৷ শুধু তাই নয়, ছেলেদের মতো ফুটবলের প্রতি তাঁদের আকর্ষণ দেখার মতো৷ সারা দুনিয়া মহিলা ফুটবল নিয়ে প্রচুর পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে৷ তার জন্য ফিফাও বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে৷ গত দু’বছর আগে ভারতীয় ফুটবলে মেয়েদের সেইভাবে গুরুত্ব দেওয়া হত না৷ অল্প সংখ্যক মহিলা ফুটবলাররা দেশের গৌরবকে তুলে ধরার চেষ্টা করতেন৷ কিন্ত্ত আজ সেই ছবিটা একদম বদলে গেছে৷ ভারতের গৌরবকে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিষ্ঠা করার জন্য মহিলা ফুটবলারদের ভূমিকা এখন দেখার মতো৷

গত ২১ মাসে ভারতীয় ফুটবলে মহিলাদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে৷ ১৬ হাজার ২২২ জন ফুটবলার সারা ভারত ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন৷ অবশ্যই এটি একটি রেকর্ড৷ তাই সারা ভারত ফুটবল ফেডারেশন মহিলাদের কথা মনে করে আগামী দিনে আরও কীভাবে তাঁদের উন্নতির সোপানে নিয়ে আসা যায়, তার রূপরেখা তৈরি করছে৷

ফেডারেশন নথিভুক্ত মহিলা ফুটবলার ছিলেন ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত ১১ হাজার ৭২৪ জন৷ আর বর্তমানে সেই সংখ্যা চলতি বছরে মার্চ মাস পর্যন্ত সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৩৬ জন৷ অর্থাৎ ২১ মাসের মধ্যে ১৩৮ শতাংশ নথিভুক্ত মহিলা ফুটবলারের সংখ্যা বেড়েছে৷ এই বিষয়ে ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে জানিয়েছেন, মহিলা ফুটবলে এই সংখ্যাটা অবশ্যই আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রশংসনীয়৷ এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ফুটবলের প্রতি মেয়েদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা জন্মাতে শুরু করেছে৷

সেই কারণে এমনভাবে পরিকাঠামো তৈরি করা দরকার, যাতে মহিলা ফুটবলাররা আরও বেশি উন্নততর পরিষেবা যাতে পান৷ এই কথা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে৷ তিনি চাইছেন, আগামীতে ইন্ডিয়ান উমেনস লিগ টু প্রত্যন্ত গ্রামে ছড়িয়ে দিতে৷ এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ইন্ডিয়ান উমেনস লিগে প্রথম তিন বছর গোকুলাম কেরল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে৷ গত মরশুমে আহমেদাবাদে ১৬টি দলের মধ্যে খেলা হয়েছিল৷ আর এবারে হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এবারে ওড়িশা এফসি গোকুলামের দাপট অনেকটাই দমিয়ে দিয়েছে৷ ইন্ডিয়ান উমেন্স লিগ টু প্রথম মরশুমে ১৫টি ক্লাব অংশ নিয়েছে৷ তার মধ্যে ৬টি দল ফাইনাল রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে৷ ফাইনাল রাউন্ডের খেলাগুলি আগামী মাসে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হবে৷

আসলে মহিলা ফুটবলের উন্নতির জন্য ফেডারেশন বিশেষভাবে এগিয়ে৷ বর্তমানে ছোট ছোট পরিকল্পনা নিয়ে মহিলা ফুটবলকে প্রসারিত করার একটা ভাবনা নেওয়া হয়েছে৷ যার ফলে অনেক গ্রামের মেয়েরা এই উমেনস লিগে খেলার সুযোগ পাবেন৷ ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এএফসি উমেনস কাপে ভারত যাতে খেলতে পারে, সে চেষ্টা করা হয়েছে৷ আগমী দিনে হয়তো আরও বেশি করে বিভিন্ন পরিকল্পনার বাস্তব রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে৷ নতুন নতুন প্রতিযোগিতা রূপায়িত করে মহিলা ফুটবলারদের প্রতি আরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে৷