• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

বাংলাদেশকে হারিয়ে নয়া ইতিহাস গড়ল ভারত

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৩৪ রানে। নাজমূল ৮২ রান করার ফাঁকে ৮টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি মারেন। শাকিব আল হাসন ২৫ রানে আউট হন। লিটন দাসের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১ রান।

চিপকের মাঠে বাংলাদেশ বধ। রোহিত শর্মার ভারতীয় দল ২০৮ রানে প্রথম টেস্টে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশকে। দুই টেস্টের সিরিজে প্রথম টেস্টে জয় তুলে নিয়ে এক ধাপ এগিয়ে রইল। নাজমুল হোসেন শান্তদের বাংলাদেশকে হারিয়ে ৯২ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এক বিরাট মাইলস্টোনকে স্পর্শ করে ফেললো ভারত।

অতীতের পাতায় চোখ রাখলে দেখতে পাওয়া গেছে কখনও টেস্টের হারের পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। তা এবার রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ঋষভ পন্থ ও শুভমান গিলরা করে দেখালেন। এই নজির গড়ার ক্ষেত্রে রোহিত ব্রিগেডের রবীন্দ্র জাদেজার বড় ভূমিকা ছিল। এতোদিন টেস্টে ৫৭৯টি ম্যাচ খেলেছে ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলার সুবাদে তার সংখ্যা দাঁড়াল ৫৮০টি। আর এই টেস্ট জয়ের ফলে তার সংখ্যা এখন ১৭৯টি দাঁড়াল। ভারত হেরেছে ১৭৮ টি ম্যাচ। ২২২ টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। আর একটি টেস্ট টাই হয়েছে। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে। রোহিতদের লক্ষ্য কানপুরের টেস্টে বাংলাদশেকে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের দখলে রাখা। সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্টের টেবলে নিজেদের জায়গা শক্ত করা। ২০২৩-২৫ বিশ্ব টেস্ট ম্যাচ চ্যাম্পিয়নশিপে এখনও পর্যন্ত ১০টি টেস্ট ম্যাচে ভারত অংশ নিয়ে ৭টি তে জয় তুলে নিয়েছে। হার দুটি টেস্ট ম্যাচে। আর ১টি টেস্ট ম্যাচে হার স্বীকার করতে হয়েছে।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচে ভারতকে পুরো চারদিনও খেলতে হল না। সাড়ে তিনদিনেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ছত্রখান করে দিল রোহিত ব্রিগেড। দিনের শুরুতেই ভারতীয় দলের বাজিমাত। ভারতের বোলারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কোনও দিশাই খুজে পায়নি। ভারতীয় দল দাপট প্রত্যক্ষ করতে বাংলাদেশ হুঙ্কার দিতে শুরু করেছিল ভারতকে। বলতে শুরু করেছিল ভারতকে হারানো তাদের কাছে শুধুই সময়ের অপেক্ষা। ভারতের আধিপত্য কাকে বলে তা ২২ গজের উইকেটে তা প্রত্যক্ষ করলেন নাজমুল ও সতীর্থতা।

রবিবার চতুর্থদিনে খেলতে নামার আগে বাংলাদেশের জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল ৫১৫ রানের। হাতে ছিল ছয় উইকেট। গতদিনে অধিনায়ক নাজমুল ৬০ রানে এবং শাকিব আল হাসন ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। বড় আশা করে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁদের থমকে যেতে হল ২৩৪ রানে। যার ফলে ভারত খুব সহজেই জয় তুলে নিল ২৮০ রানের ব্যবধানে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার হাতের ঘুর্নিতে বাংলাদেশ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। লড়াই করেও বাংলাদেশের হারকে বাঁচাতে পারলেন না অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ক শান্ত ৮২ রান করে আউট হন।
প্রথম টেস্টে চিপকের মাঠে ভেলকি দেখালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন শতরান করার কৃতিত্ব দেখান। আর দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিন ৮৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে কিস্তিমাত করে দিলেন। অন্যদিকে রবীন্দ্র জাদেজা ৫৮ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান ম্যাচের সেরা হয়েছেন ভারতের অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শুভমান গিল ও ঋষভ পন্থের শতরান ভারতের জয়কে সহজ করে দিয়েছে। ভারত এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪ টি টেস্টে ১২টি ম্যাচে জয় পেয়েছে। আর অন্য দুটি টেস্ট ম্যাচে ড্র হয়েছিল।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৩৪ রানে। নাজমূল ৮২ রান করার ফাঁকে ৮টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি মারেন। শাকিব আল হাসন ২৫ রানে আউট হন। লিটন দাসের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১ রান। তারপরের ব্যাটসম্যানরা তথৈবচ। তাই বলতে দ্বিধা নেই ভারতের সঙ্গে লড়াই করার মতন সেই সাহস নেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ভারত তাই বুক বাজিয়ে বলতে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত একটা নাম।