একদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মহা’র আশঙ্কায় ম্যাচ পণ্ড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে, বাংলাদেশের কাছে টি-২০ সিরিজ হারানাের ভয়ে রােহিত শর্মার দলের সামনে ডু অর ডাই ব্যাটল- এইরকম একটি দৃশ্যপটে বৃহস্পতিবার ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ খেলতে নামছে।
সিরিজ বাঁচানােই এখন ভারতের কাছে একমাত্র লক্ষ্য। তাই রােহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ানের ওপর এই ম্যাচে বড় রান তুলে দলের জয় সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব এসে পড়েছে। টি-২০ ফরম্যাটে রােহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়ার ব্যর্থতা এমনভাবে সামনে এসে পড়েছে যারপর ভারতের তরুণ দলটি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশকে হারানাে ছাড়া আর কোনও রাস্তা খােলা নেই।
গত রবিবার বিরাট কোহলিহীন ভারত দিল্লিতে প্রথম টি-২০ ম্যাচে দ্রুত রান তুলতে না পারার জন্যই শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে হেরে যায়। একই ম্যাচে বাংলাদেশের মুসফিকার রহিম ৪৩ বলে অপরাজিত সাত রান করে দেখিয়ে দিয়েছেন রান তােলাটা আদৌ কঠিন কিছু ছিল না।
ভারতের অধিনায়ক রােহিত শর্মা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন তাঁর দল প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি। প্রথমে ব্যাটিং ব্যর্থতা পার্থক্য গড়ে দেওয়ার পর বাকিটুকু হয়েছে মাঠে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে। তাই বৃহস্পতিবার রােহিত ও শিখর ধাওয়ানের দিকেই বিরাট রানের জন্য তাকিয়ে আছে ভারত।
একইসঙ্গে ভারতের ফাস্ট ও স্পিন বােলারদের বাংলাদেশের রান তােলায় শিকল পড়াতে হবে। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে ভারতের অনভিজ্ঞ বােলিং লাইন টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে বিরাট মাথা ব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পেস বােলার খলিল আমেদ দিল্লিতে চার ওভারে ৩৭ রান দিয়ে দেন। ১৯তম ওভারে দিল্লিতে তার বলে পরপর চারটি বাউন্ডারি হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার তাকে বসিয়ে সাদুল ঠাকুরকে খেলানাে হতে পারে। স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর, যাজুবেন্দ্র চাহাল এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া এই তিনজনের ওপরও তেমন ভরসা করা যাচ্ছে না। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাদের এমন কিছু করে দেখাতে হবে যাতে আগামী বছর টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের মাথা থেকে তাদের কথা সরে না যায়।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ সিরিজ জেতার জন্য মরিয়া। তামিল ইকবাল ও সাকিব অল হাসানের মতাে ক্রিকেটার নেই। তবুও বাংলাদেশের বােলাররা বিশেষ করে পেশার সাইফুল ইসলাম এবং স্পিনার আমিনুল ইসলাম দিল্লিতে যে ভাল বােলিং করেছেন রাজকোটেও সেটা করে দেখানাের জন্য মােটামুটি প্রস্তুত।
দুটি দল গড়া হবে এদের থেকে : ভারত- রােহিত শর্মা, খলিল আমেদ, যাজুবেন্দ্র চাহাল, দীপক চাহার, রাহুল চাহার, শিখর ধাওয়ান, শিভম দুবে, শ্রেয়াস আয়ার, মনীশ পাণ্ডে, ক্রুনাল পাণ্ডিয়া, ঋষভ পন্থ, লােকেশ রাহুল, সঞ্জ স্যামসন, ওয়াশিংটন সুন্দর, সার্দুল ঠাকুর।
বাংলাদেশ- মহমদুল্লা রিয়াদ, তাইজুল ইসলাম, মহম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নঈম শেখ, মুসফিকার রহিম, আফিফ হােসেন, মােসাদেক হােসেন, আমিনুল ইসলাম, আরাফত সানি, আবু হায়দার, অল আমিন হােসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম।