• facebook
  • twitter
Thursday, 14 November, 2024

নিজেদের মধ্যে দল করে প্রস্তুতি ম্যাচের খেলার সম্ভাবনা ভারতের

নেটে যতই সময় কাটানো যাক না কেন, বা অল্প রানে ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে যাক না কেন, তাতে কোনওভাবেই ভুল শুধরে নেওয়া যায় না। যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনও ম্যাচ না খেলা যায়, ততক্ষণ টেম্পার্টমেন্টটা বোঝা যায় না।

অস্ট্রেলিয়া সফরে পাঁচ ম্যাচের টেস্টে প্রথম খেলা ২২ নভেম্বর। তড়িঘড়ি করেই ভারতীয় দল পৌঁছে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রথম টেস্টে খেলবেন না, এমনই ধারণা পৌঁছে গিয়েছে সবার কাছে। তাই ভারতীয় দলের হয়ে টস করতে কে যাবেন, তা এখনও সিদ্ধান্ত নেননি কোচ গৌতম গম্ভীর। তবে, অভিজ্ঞতা এবং সাহসী ভূমিকাকে যদি কোনও ক্রিকেটারকে দেখা হয়, তাহলে যশপ্রীত বুমরা থেকে এগিয়ে থাকবেন বিরাট কোহলি। অবশ্য ভারতীয় দলের সহঅধিনায়ক হিসেবে ইতিমধ্যেই যশপ্রীত বুমরার নাম ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে যশপ্রীত বুমরার নামটাই এগিয়ে থাকবে, এই ভাবনাও আসতেই পারে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কাছে দেশের মাটিতে হেরে যাওয়ার পরে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্যে বড় ভূমিকা নিতে পারেন একমাত্র বিরাট কোহলি। সেই কারণে দলের কর্মকর্তারা এবং কোচ হয়তো চাইতে পারেন প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিক বিরাট কোহলি। তাই কোহলির সঙ্গে বুমরার মধ্যে টানাপোড়েন চলছে অধিনায়কের নাম ঘোষণায়।

এদিকে অত্যন্ত নিভৃতে ভারতীয় দল অনুশীলন করছে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকার সমালোচনা করে ভারতীয় দলকে একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইট ওয়াশ হয়ে যাওয়ার পরে কেন কোনও প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাসকার টেস্ট ম্যাচে খেলতে নামছে ভারত? গাভাসকারের এই সমালোচনার পরেই শোনা গেল, আগামী শুক্রবার ভারতীয় দলকে দুই ভাগ করে খেলানো হবে। অর্থাৎ সেই অর্থে প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল হচ্ছে না। তবে, স্টেডিয়ামে কোনও দর্শককে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অনুশীলনের খবর যাতে কোনওভাবেই প্রকাশ্যে না পৌঁছতে পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুধবার ঐচ্ছিক অনুশীলনে সেইভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাউকে দেখা যায়নি। বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও যশপ্রীত বুমরারা মাঠে থাকলেও অনুশীলন করেননি। আসলে গাভাসকার মনে করেন নেটে প্র্যাটটিস করারা অন্যরকম।

নেটে যতই সময় কাটানো যাক না কেন, বা অল্প রানে ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে যাক না কেন, তাতে কোনওভাবেই ভুল শুধরে নেওয়া যায় না। যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনও ম্যাচ না খেলা যায়, ততক্ষণ টেম্পার্টমেন্টটা বোঝা যায় না। বিদেশের মাটিতে বার বার হার মানাটা ভারতীয় দলে ঠিক নয়। সেই কারণেই অনুশীলন ম্যাচ খেলা অত্যন্ত জরুরি।
ভারতীয় দলে বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার রয়েছেন, যাঁরা টেস্ট ম্যাচে অঘটন ঘটিয়েও ফেলতে পারেন।

বিশেষ করে যশস্বী জয়সওয়ালের উপরে নির্ভর করা যায়। আবার শুভমন গিল নিজের উপরে আস্থা রেখে খেলতে পারলে, বড় অঙ্কের রান উপহার দেওয়াটা তাঁর কাছে কোনও কঠিন ব্যাপার নয়। তবুও মনে রাখতে হবে, রোহিত শর্মাকে ওপেনার হিসেবে যখন পাওয়া যাচ্ছে না, তখন একটা সমস্যা তৈরি হবেই। তাহলে কি রোহিতের জায়গায় যশপ্রীত বুমরাকে দিয়ে ওপেন করানো হবে, এ প্রশ্ন অনেকের কাছে খেলা করছে। শুভমন গিল কোনও কোনও সময় ওপেন করেছেন, কিন্তু শুভমন গিলকে যদি চারে অথবা পাঁচে পাঠানো যায়, তাহলে দলের অবস্থা অনেক সময় বদলে যাবে। এমনকি দলের সতীর্থ খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে এগিয়ে থাকবেন। দল যখন বড় রান করে, তখন স্বাভাবিকভাবে বোলাররাও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে ওঠেন। খেলার ছন্দে ফিরে এসে বোলাররাও প্রতিপক্ষ দলকে আঘাত হানতে পারে। আর বিরাট কোহলি তিন নম্বরে খেলতে নামবেন।

আশা করা যায়, বিরাটের ব্যাট থেকে বড় রান আসবে। বিদেশের মাটিতে তিনি অনেক সময় চমক দেন, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ভারতীয় সমর্থকরা। অস্ট্রেলিয়া দল প্রথম থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়তে দ্বিধা বোধ করেননি। বিশেষ করে প্যাট কামিন্স যে সমস্ত কথা বলেছেন ভারতের বিরুদ্ধে, তাতে ভারতীয় দলের জেদ বেড়ে গেছে। তারাও ছেড়ে কথা বলবে না।