আজ কেকেআর ম্যাচে, এগিয়ে শুরু করবে দিল্লি

নিজস্ব প্রতিনিধি— ফুটবল ম্যাচে একটা চালু কথা আছে৷ পিছিয়ে থাকা দল সব সময় ভয়ঙ্কর৷ ওরা ম্যাচে সমতা ফেরানোর লড়াইয়ে একটি গোল করে ফেললে তখন ওদের আটকানো কঠিন হয়ে পডে়৷
কেকেআর বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচের আগে হঠাৎ করে করে ফুটবল ম্যাচকে টেনে আনলাম৷ প্রশ্ন উঠতে পারে৷ কারন একটাই কেকেআর দুটি ম্যাচ জিতে গ্রুপের উপরের দিকে আছে৷ উল্টোদিকে দুটি ম্যাচে হারের পর হট ফেভারিট চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট প্রথম জয় পেয়েছে৷ এই জায়গায় দিল্লি কিন্ত্ত কেকেআরের থেকে ভয়ঙ্কর হয়ে খেলা শুরু করবে৷ কেকেআর ছন্দে আছে৷ দিল্লি হঠাৎ করে ছন্দ পেয়ে গিয়েছে৷ তাই এক পা হলেও কেকেআরের থেকে ঋষভ পন্থরা এগিয়ে থাকবে৷

বিশাখাপত্তনমের মাঠে ব্যাটসম্যানরা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকবে৷ এটা আগের ম্যাচে দেখতে পাওয়া গিয়েছে৷ না হলে দিল্লি দারুনভাবে শুরু করে প্রায় দুশোর কাছে রান নিয়ে যেতে পারে না৷ পরে বল করতে গিয়ে এমনভাবে পাল্টা দিয়ে বসে যাতে সিএসকে পায়ের নিচে জমি খুঁজে পায়নি৷ এটাই ধোনিদের সমস্যায় ফেলে দেয়৷ তাই ইশান্ত, খলিল, মুকেশদের খেলা দেখে সবাই একটা কথাই বলেছে যে দিল্লি পেস অ্যাটাক অনেক ভাল৷ পাওয়ার প্লে-তে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দিতে পারলে ওদের আটকানো কঠিন হয়ে পডে়৷ এই জিনিসটা কেকেআর ম্যাচে পুনরাবৃত্তি হলে সমস্যায় পড়বে গৌতম গম্ভীরের দল৷ গম্ভীর ঋষভদের ম্যাচ দেখেছেন৷ তাঁরা ম্যাচের দিন বিশাখাপত্তনমে পৌঁছে গিয়েছিলেন৷ তাই অঙ্ক কষা সুবিধা হয়ে য়াবে৷ কিন্ত্ত মাঠের বাইরে বসে অঙ্ক কষা আর মাঠে নেমে খেলার মধ্যে যে বিরাট ফারাক৷ কেকেআর দ্বিতীয় ম্যাচে পাওয়ার প্লে-তে খেলা ধরে নিয়েছিল৷ তাই ১৬২ রানের বাধা টপকাতে তাদের অসুবিধা হয়নি৷ প্রথম উইকেটে ৯৩ রান উঠে আসতে মিডল অর্ডারের কাজ সুবিধা হয়ে যায়৷ নারাইনের ২২ বল খেলে ৪৭ রানের ইনিংসটি দলকে মানসিক দিকে থেকে চাঙ্গা করে৷ তার সঙ্গে সল্ট মানানসই হয়ে উঠেছিলেন৷ তাই একেশো রান তুলতে ওদের বেশি বল খেলতে হয়নি৷ কিন্ত্ত সব দিন এমন হতে পারে না৷ শুরুতে ওপেনিং ভেঙ্গে গেলে মিডল অর্ডার চাপ নিতে পারবে তো! প্রথম ম্যাচে তাদের কিন্ত্ত সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি৷ ১১৯ রানে পাঁচ উইকেট চলে যাওয়ার পর রাসেলের ভয়ঙ্কর ইনিংস দলকে নির্ভরতা দিয়েছিল৷ কিন্ত্ত রাসেল ক্লিক করতে না পারলে কেকেআর সেই ম্যাচে হেরে যায়৷ তাই ওদের ব্যাটিং দাঁডি়য়ে আছে ওপেনিং জুটি এবং রাসেলের মারমুখী মেজাজী ইনিংসের উপর৷ সেটা ক্লিক না করলে অসুবিধা আছে৷ তার উপর কেকেআরের বোলিং নিয়ে চিন্তা থেকে যাচ্ছে৷ মিচেল স্টার্ক প্রায় ২৫ কোটি টাকা নিয়ে কিছুই করতে পারছেন না৷ দুটি ম্যাচে ৮ ওভারে তিনি রান দিয়েছেন ১০০৷ এরপর তাঁর উপর কতটা ভরসা রাখতে পারবে কেকেআর৷ দিল্লির বিরুদ্ধে তিনি মার খেলে চার নম্বর ম্যাচের আগে টিম ম্যানেজমেন্ট কিন্ত্ত চিন্তায় পডে় যাবে৷ কেকেআরের বড় ভরসা দলের স্পিনাররা৷ নারাইন আছেন৷ আগের ম্যাচে বরুন চক্রবর্তী ভাল করতে না পারলেও তাঁকে মনে হয় না দলের বাইরে রাখা হবে৷ অনুকুলের উপর গম্ভীর কতটা ভরসা রাখতে পারবেন৷ এই সব চেনা অচেনার মধ্যে দাঁডি়য়ে স্বস্তিতে নেই কেকেআর৷

অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসের কথা আগেই বলেছি৷ আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর দল৷ সিএসকে-কে হারিয়ে ওরা মানসিক দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে৷ পৃথ্বী এসে রান পেয়েছেন৷ রানের মধ্যে আছেন ওয়ার্ণার৷ তিনি জানেন স্টার্ক কী করতে পারেন৷ তাই একবার দাঁডি়য়ে যেতে পারলে ওয়ার্ণারকে আটকানো কঠিন হয়ে পড়বে৷ সব থেকে বড় কথা ঋষভ আগের ম্যাচে রান পেয়েছেন৷ এই তিনজনের মধ্যে দুটি বড় পার্টনারশিপ হলে দিল্লিকে কে আটকাবে৷ তার সঙ্গে বোলিংয়ের কথাও আগে বলেছি৷ তিন পেসারের সঙ্গে থাকবে নর্জি৷ আর স্পিনার হিসেবে আছেন অক্ষর৷ এই ফরম্যাটে তাঁকে মারা সহজ নয়৷ আর পরিসংখ্যানের দিক থেকে দিল্লি খারপ জায়গায় নেই৷ কেকেআরকে তারা গতবার হারিয়েছে৷ তার আগের মুশুমে দুবার হারিয়েছে৷ তাই পাল্লা কিন্ত্ত দিল্লির দিকে কিছুটা হলেও ঝুঁকে থাকবে৷