• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

এভাবে চললে, একপেশে হয়ে যাবে ক্রিকেট : রবিচন্দ্রন অশ্বিন

নিজস্ব প্রতিনিধি— এবারের আইপিএল ক্রিকেটে খেলা দেখে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, কেন এত রান হচ্ছে, তা বোঝাই যাচ্ছে না৷ এখনও পর্যন্ত আইপিএল ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি স্কোর হয়েছে ২৮৭৷ আর এই স্কোর হয়েছে এবারের আইপিএল ক্রিকেটে৷ ২০০-র বেশি রান এখন তো কোনও কথাই নেই৷ অনেক খেলাতেই স্কোরবোর্ড দেখলেই এই দৃশ্যটা দেখতে পাওয়া যায়৷ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার

নিজস্ব প্রতিনিধি— এবারের আইপিএল ক্রিকেটে খেলা দেখে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, কেন এত রান হচ্ছে, তা বোঝাই যাচ্ছে না৷ এখনও পর্যন্ত আইপিএল ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি স্কোর হয়েছে ২৮৭৷ আর এই স্কোর হয়েছে এবারের আইপিএল ক্রিকেটে৷ ২০০-র বেশি রান এখন তো কোনও কথাই নেই৷ অনেক খেলাতেই স্কোরবোর্ড দেখলেই এই দৃশ্যটা দেখতে পাওয়া যায়৷ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে প্রতিটি দলই প্রয়োজনে অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান ও বোলার খেলাতে পারে৷ যদিও ব্যাটসম্যানদের কিছুটা সুবিধা হয় এই নিয়মে৷ আসল কথা হল, ক্রিকেট খেলা সেটা এখন নকল ক্রিকেটে দেখা দিচ্ছে৷ এই নিয়ে অনেক বিতর্কও আছে৷ এককথায় বলা যায়, আসল ক্রিকেটটা হল টেস্ট ম্যাচ৷ সেখানে প্রতিটি বল মুহূর্ত সেশনে চরিত্র পরিবর্তন করে দেয়৷ একদিনের ক্রিকেটে একটা সময় কোনও টিম ২৭০ রান করা মানেই ম্যাচটা নিজেদের হাতে নিয়ে নেওয়া৷ তারা শুধু অপেক্ষা করত জয়ের জন্য৷ এখন দু’দিক থেকেই নতুন বল ব্যবহার করা হয়৷ একদিনের ম্যাচে রিভার্স সুইংয়ে দেখা মেলে না৷ এখন কেউ ৩৫০ স্কোর করলেও সুরক্ষিত নয়৷

প্রতিপক্ষ দল সেই রানও টপকে যেতে পারে৷ তাই এখন সবাই বলতে শুরু করেছেন, কোনও স্কোরই সুরক্ষিত নয়৷ তাই এবারে আইপিএল ক্রিকেট নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ অনেকগুলি ম্যাচে ২৫০ রান দেখতে পাওয়া গেছে৷ আইপিএল ইতিহাসে এরকম রান স্কোরবোর্ডে দেখা গিয়েছে৷ ইডেন উদ্যানেই কলকাতা নাইটরাইডার্স ২৬২ রান করেও পাঞ্জাব কিংসের কাছে হেরে যেতে হয়েছে৷ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মে প্রতিটি দলই প্রয়োজনে বোলার বা ব্যাটসম্যানকে খেলাতে পারে৷ গত শুক্রবার কলকাতা নাইটরাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স৷ কলকাতা দল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৬৯ রান করে ইনিংস শেষ করে৷ সেই জায়গায় মুম্বই দল ১৪৫ রান করে হার স্বীকার করে নেয়৷ এদিনের খেলায় কলকাতা নাইটরাইডার্সের হয়ে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হয়েছিল মনীশ পাণ্ডেকে৷ বেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গে যোগ দিয়ে মনীশ পাণ্ডে জুটি ৮৩ রান যোগ করেন৷ এতেই বোঝা যায়, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামানোর অর্থ দলের কাছে ভালো দিক৷ এভাবে খেলা চলতে থাকলে, ভারতীয় ক্রিকেটের অবস্থা খুবই সঙ্গীন হবে৷ এমনই ধারণা পোষণ করেন স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন৷ তিনি বলেন, আস্তে আস্তে ক্রিকেট একেবারে একপেশে হয়ে যাবে৷ এর ফলে ব্যাটসম্যানরা বাড়তি সুবিধা পেলেও বোলারদের কাছে তা দুঃস্বপ্নের হয়ে দাঁড়াবে৷ সে কারণে বোলারদের মানসিক শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন পড়বে নতুন চিন্তাভাবনা৷ ক্রিকেটের ভারসাম্য হারালে দক্ষ বোলাররা এখনও প্রভাব খাটিয়ে চলেছেন৷ রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেছেন, খেলার ভারসাম্য ধরে রাখতে গেলে বোলারদের উপরে বেশি নির্ভর করতে হয়৷ এই বিষয়ে দলের অধিনায়কদেরও ভাবার সময় এসেছে৷