আবারও মুখ পুড়লো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি ছিল না। এই নিয়ে পাকিস্তানের অভিযোগ যে, পাক বোর্ডের সিইও তথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ডিরেক্টর সুমাইর আহমেদ দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে থাকা সত্ত্বেও তিনি ডাক পাননি মঞ্চে। পাক বোর্ডের এই অভিযোগ ধোপে টিকল না। আইসিসি এই অভিযোগের ভিত্তিতে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিয়মমাফিকই সব কিছু করা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ডিরেক্টর হওয়ায় সুমাইরকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানাতে হবে, তেমন কোনও নিয়ম নেই।
সেই আধিকারিক আরও বলেন, ‘সুমাইর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মচারী। কিন্তু উনি বোর্ডের আধিকারিক নন। কোনও প্রতিযোগিতাতেই কোনও ডিরেক্টর পুরস্কার মঞ্চে থাকেননি এবং এটাই নিয়ম। আইসিসির আধিকারিক গৌরব সাক্সেনা এক বার এশিয়া কাপের ডিরেক্টর ছিলেন। তিনিও পুরস্কার মঞ্চে ছিলেন না। তাই যা খুশি তাই অভিযোগ করলেই হয়না।’ তিনি আরও বলেন, ‘নকভিকে আমরা আমন্ত্রণ করেছিলাম যদিও উনি আসতে পারেননি, কারণ দেশের প্রাদেশিক মন্ত্রী হিসাবে পূর্বনির্ধারিত কিছু কাজ ছিল।’
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ ছিল পাকিস্তান। নিয়ম অনুযায়ী মঞ্চে থাকা উচিত ছিল পিসিবির কোনও কর্তার। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রজার বিনি, সচিব দেবজিৎ শাইকিয়া, এবং আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ থাকলেও পাকিস্তানের কোনও ক্রিকেট কর্তা ছিলেন না। মঞ্চের তিন প্রধান অতিথিই ছিলেন ভারতীয় এবং তাঁরাই ক্রিকেটারদের মেডেল ও ব্লেজার পরিয়ে দেন। রোহিত শর্মার হাতে ট্রফি তুলে দেন জয় শাহ। আর এই ঘটনার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও আইসিসির এই ব্যাখ্যা মানতে চাইছে না পাকিস্তান।