• facebook
  • twitter
Monday, 7 April, 2025

অনিল কুমারের সচিব পদ বেআইনি বলে হাইকোর্টের রায়

ক্রীড়মন্ত্রীর কাছে অনিল কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তিনি যে বেআইনিভাবে কাজ করে চলেছেন, সেই বিষয়ে।

ফাইল চিত্র

ফুটবল ফেডারেশনের তুঘলকিপনার উপর জোর আঘাত হানল দিল্লি হাইকোর্ট। বুধবার দিল্লির সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, ফুটবল ফেডারেশন যেভাবে চলছে, তা মোটেই সংবিধান সম্মত নয়। বিশেষ করে সচিবপদে বসানো অনিল কুমারকে কোনওভাবে মান্যতা দেওয়া যাবে না। তাঁর সচিব পদের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। যেহেতু তাঁর সচিব পদে আসা সম্পূর্ণ বেআইনি, ফলে অনিল কুমারকে না সরিয়ে উপায় নেই। প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, সচিব পদে ছিলেন সাজি প্রভাকরণ।

কিন্তু ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবের সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা দেওয়ায় সাজিকে সরিয়ে বসানো হয় অনিল কুমারকে। দিল্লি হাইকোর্ট রায় দিয়ে জানিয়ে দিল, অনিলকে বসানো ফেডারেশনের কোনওমতে উচিত হয়নি। এভাবে একজনকে আনতে গেলে ফেডারেশনের সংবিধান মেনে নিয়ে আসতে হয়। যার দরুন বড়সড় ধাক্কা খেল ফেডারেশন। আসলে অনিল কুমার সচিব হওয়ার আগে ফেডারেশনের কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু সাজিকে সরানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি কার্যনির্বাহি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর হয়ে যান সচিব। কিন্তু ফেডারেসনের সংবিধান বলছে, সচিব পদ যেহেতু বেতনভুক্ত একজন কর্মচারী, তাই তাঁকে সরাসরি নিয়োগ করা যায় না।

সচিব পদে কাউকে আনতে গেলে প্রতমে আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিতে হয়। তারপর আবেদনপত্র নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটিতে বাছাই করার পর কোনও একজনকে বেছে নিতে হবে। কার্যনির্বাহী কমিটির সুপারিশ মেনে সভাপতি এবার সচিব পদে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়োগপত্র দেবেন। সভাপতি কল্যাণ চৌবে এখানে ঘটিয়েছেন ঠিক উল্টো। তিনি সরাসরি সচিব পদে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন অনিল কুমারের হাতে। না চাওয়া হয়েছে সচিব পদে বসার জন্য কোনও আবেদনপত্র বা কার্যনির্বাহী কমিটির কোনও অনুমতি। সাজিকে সরিয়ে রাতারাতি অনিলকে বসানো শুধু বেআইনি নয়, ইতিমধ্যে তাঁর বেতনের অঙ্ক অনেক বেড়ে গিয়েছিল। যেখানে সাজি পেতেন ৪ লক্ষ টাকা, আর অনিল সেখানে ১০ লক্ষ টাকা বেতন পেতেন। অবৈধ ক্রীড়াকলাপের জন্য মামলা করেছিলেন গোপালকৃষ্ণ কোসারাজু। সভাপতি এই মামলায় জয় পাওয়াতে তিনি যারপরনাই খুশি হয়েছেন। আবার মামলা রয়েছে সভাপতি কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধেও। এককথায় বলা যায়, এই দুই বছরে সারা ভারত ফেডারেশনে ঘুঘুর বাসা বসে গিয়েছে।

এদিকে ক্রীড়মন্ত্রীর কাছে অনিল কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তিনি যে বেআইনিভাবে কাজ করে চলেছেন, সেই বিষয়ে। তাই অনিল কুমারকে সরিয়ে নতুন সচিব পদে একজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। মামলাকারীদের মধ্যে আরেকজন ছিলেন রঞ্জিৎ বাজাজ। আসলে এই সমস্ত ঘটনার পিছনে বিপুল অর্থের হাতছানি ছিল। তিনি প্রচুর অর্থ দিয়ে সচিব পদে বসেছিলেন। রঞ্জিৎ বাজাজ বলেন, যেভাবে সচিবকে সরানো হয়েছে তা ফেডারেশনের সংবিধান মানা হয়নি। দিল্লি হাইকোর্ট তা উল্লেখ করেছে। অনিল কুমার এখন সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ফেডারেশনের ক্রীড়াকাণ্ড নিয়ে শুনানি হবে। সেখানেও যে প্রচুর বেনিয়ম হয়েছে, তা প্রকাশ
পেতে পারে।

News Hub