কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন কার্লোস কুয়াদ্রাত। তারপরে ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তারা সাময়িকভাবে ঘরোয়া লিগের কোচ বিনো জর্জকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইএসএল ফুটবলে লাল-হলুদ ব্রিগেডের ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যে বিদেশি কোচের সন্ধানে নেমে পড়েছেন কর্মকর্তারা। তিন-চার জন কোচের সন্ধানে নেমে পড়েছেন কর্মকর্তারা। তিন-চার জন কোচের নাম নিয়ে ক্লাব তাঁবুতে ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও কোচকে মনোনীত করা সম্ভব হয়নি।
আর এরই মধ্যে আইএসএল ফুটবলে সফল কোচ অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসকে প্রস্তাব দেওয়া হয় এই দায়িত্ব নিতে। ইস্টবেঙ্গলের এই প্রস্তাবকে সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আসলে ১৯ অক্টোবর ডার্বি ম্যাচের আগে নতুন কোচ বেছে নিতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তারা। হাবাস অনুরোধ পাওয়ার পরে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে কলকাতায় কোচিং করা সম্ভব নয়। তার প্রধান কারণ হল ইন্টার কাশি দলের সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়ে গেছে।
হাবাস প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পরে এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তারা পচন্দের তালিকায় প্রথমে রেখেছেন স্প্যানিশ কোচ অ্যালবার্ট রোকার নামটা। বার্সেলোনা দলের কোচ ছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি বেঙ্গালুরু এফসি দলে কোচিং করিয়েছেন। যখন তিনি বেঙ্গালুরু দলের কোচ ছিলেন, তখন দলকে সুপার ও ফেডারেশন কাপ উপহার দিয়েছিলেন। রোকার সঙ্গে যেমন কথাবার্তা চলছে, পাশাপাশি, বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের প্রাক্তন কোচ অস্কার ব্রুঁজোর সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।
যেই নতুন কোচ আসুন না কেন, দলের সাফল্যে অবশ্যই ফুটবলারদের নিতে হবে। মাঠে নেমে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ফুটবলারদের দায়িত্ব সবচে বড়। সেখানে কোচ ও কর্মকর্তারা পিছন থেকে সাপোর্ট দিতে পারেন কিন্তু ফুটবলাররা যদি নিজেদের প্রকাশ করতে না পারেন, তাহলে দলের ব্যর্থতা প্রকাশ পাবে। কোচের ঘাড়ে দোষ দিয়ে ব্যর্থতাকে ঢাকা দেওয়া যায় না। পেশাদার ফুটবলাররা সবচেয়ে বেশি চাইবেন সমর্থকদের আবেগকে মর্যাদা দিয়ে দলের সাফল্যকে প্রকাশ করতে।