বাংলার টেবলটেনিসের উজ্জ্বল তারকা সিন্ড্রেলা দাস জাতীয় আসর থেকে রুপো ও ব্রোঞ্জ পদক আনলেও এতদিন সোনার পদকটা অধরাই ছিল। সেই সোনার পদকটা এবার সিন্ড্রেলা দাসকে রাঙিয়ে দিল। গোয়ায় অনুষ্ঠিত জাতীয় টেবলটেনিস প্রতিযোগিতার ফাইনালে নন্দিনী সাহাকে হারিয়ে সোনার পদক তুলে নিলেন অনুর্ধ্ব ১৭ জাতীয় টেবল টেনিস প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলার দুই প্রতিযোগী মুখোমুখি হয়েছিলেন। প্রথম গেমে নন্দিনীর কাছে ৬-১১ পয়েন্টে হার স্বীকার করেন সিন্ড্রেলা।
কিন্তু পরের গেমেই খেলায় ফিরে এসে সিন্ড্রেলা চাপ বাড়িয়ে নন্দিনীর কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন। সিন্ড্রেলা জিতলেন ১১-৬ পয়েন্টে। প্রথম দিকে ছন্দ হারিয়ে ফেললেও সিন্ড্রেলা যেভাবে তৃতীয় গেমে নন্দিনী চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করল, তা ধরে রাখতে পারেননি। তৃতীয় গেমেও সিন্ড্রেলা ১১-৫ পয়েন্টে নন্দিনীকে হারিয়ে এগিয়ে যান। চতুর্থ গেমটি তাই ভাগ্য নির্ধারণের জন্য নির্ধারিত হয়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে নন্দিনীকে পিছনে ফেলে সিন্ড্রেলা নিজের হাতের মুঠোয় গেমটি নিয়ে নেন। শেষ পর্যন্ত সিন্ড্রেলা ১২-১০ পয়েন্টে চতুর্থ গেমে নন্দিনীকে হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে নেন।
সেমিফাইনালে সিন্ড্রেলা ও নন্দিনী দু’জনই মুখোমুখি হয়েছিল মহারাষ্ট্রের প্রতিযোগীর বিরুদ্ধে। সিন্ড্রেলার সামনে ছিল কাব্য ভট্ট। সেই লড়াইও চার গেমের হয়। সেখানেও প্রথম গেম হেরেছিল সিন্ড্রেলা। কিন্তু পরের তিনটি গেম জিতে (৯-১১, ১২-১০, ১১-৮, ১৩-১১) ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যান। ফাইনালেও সেই ছবিই দেখা গেল। অপর সেমিফাইনালে নন্দিনীর খেলা ছিল দিব্যাংশি ভৌমিকের বিরুদ্ধে। সেই খেলা গড়ায় পাঁচ গেমে। তিন গেমের পর পিছিয়ে ছিল নন্দিনী। পরের দু’টি গেম জিতে (১১-৯, ১৩-১৫, ৭-১১, ১২-১০, ১১-৮) ফাইনালে চলে যান। কিন্তু ফাইনালে আর পিছিয়ে পরে ফিরতে পারলেন না নন্দিনী। হারতে হল সিন্ড্রেলার কাছে। এদিকে বেঙ্গল স্টেট টেবলটেনিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি ও যুগ্মসচিব শর্মি সেনগুপ্ত সিন্ড্রালাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।