জয়পুর, ২৫ মার্চ – টসে জিতে সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে আগে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা যে ভুল সেটা তিনি ভালো করে বুঝতে পারলেন। গেইলের ব্যাটিং তাণ্ডব ও সরফরাজ খানের শেষদিকে অপরাজিত ৪৬ রানের উপর ভর করে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব প্রথম ব্যাট করতে নেমে চার উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান তুলেছে। তবে গেইল যে এখনও ফুরিয়ে যায়নি তার প্রমাণ দিলেন নিজেই ৪৭ বলে ৭৯ রান করে। কিন্তু সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে এবারের আইপিএল ক্রিকেটের চতুর্থ ম্যাচে ক্রিস গেইলের দাপটে ব্যাটিংয়ের সুযোগে কিংস ইলেভেন নির্ধারিত ২০ ওভারের মধ্যে তেরোতম ওভারেই ১০০ রান তুলে ফেলে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে। ওপেনার লোকেশ রাহুল চার বলে চার রান করে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই পেস বোলার ধবল কুলকার্নির একটি আউট স্যুইঙ্গারে খোঁচা দিয়ে উইকেটরক্ষক জোস বাটলারের হাতে ধরা পড়ে যান। অন্য ওপেনার ক্রিস গেইল তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে সঙ্গী করে ৪৯ বলে ৫৬ রান যোগ করে দেওয়ার পর আগরওয়াল একই ভুল করেন যা লোকেশ রাহুল করেছিলেন। পেস বোলার কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের বলে মায়াঙ্ক ধবল কুলকার্নির হাতে ক্যাচ দিয়ে চলে যান ২৪ বলে ২২ রান করে। কিংস ইলেভেনের হয়ে তারপর সরফরাজ ক্রিজে এলেও ক্রিস গেইলের মারকুটে ব্যাটিংয়ের পাশে নিজেকে একেবারে গুটিয়ে রেখেছিলেন। গেইল রাজস্থান রয়্যালসের পাঁচজন বোলারের মধ্যে দুই পেসার ছাড়াও স্পিনার জয়দেব উনাদকাটের বল যতেচ্ছ পিটিয়েছেন। উনাদকাট দুই ওভারে ৩২ রান দিয়ে দেওয়ায় রাহানে বাধ্য হন তাঁকে সরিয়ে দিতে।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে গেইল বলেছিলেন, বিশ্বকাপের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে জায়গা পাওয়ার জন্য এই টুর্নামেন্টে তাকে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু সোমবার দেখা গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বিস্ফোরক তারকা যেন নিজেকে প্রমাণ করার জন্যই বেশি আগ্রহী ছিলেন। ১৪ ওভারে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব যে দুই উইকেটে ১১৫ রান তুলে নেয় তার মধ্যে গেইল একাই ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। এই রান করতে তার ৪০টি বল লেগেছে এবং ছয়টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। অনেকক্ষণ গুটিয়ে থাকার পর সরফরাজ খানও রান তোলার দিকে মনোযোগ দেওয়ায় কিংস ইলেভেন মোটামুটি ১৫০ অথবা তার বেশি লক্ষ্যে এগিয়ে যায়। তবে গেইলের ইনিংস শেষ হয়ে যায় কিংস ইলেভেনের ইনিংসের ২৫টি বাকি থাকতেই। অজিঙ্কা রাহানে অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরিয়ে আনার পর শতরানের লক্ষে বেপরোয়া হয়ে ওঠা গেইল স্টোকসের বল পুল করতে গিয়ে রাহুল ত্রিপাঠির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নিজের ৭৯ রানে। ৪৭ বলে গেইল এই রান করেছেন ৮টি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা সহ। গেইল বিদায়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ প্রতিভা নিকোলাস পুরান এসে সরফরাজ খানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর রান ওঠার গতি একেবারে পড়ে যায়। স্টোকস একা দু’টি উইকেট সংগ্রহ করেন ৪৮ রান খরচ করে।