সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার প্রধান হওয়ার দৌড়ে থেকেও কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে ভোটে হেরে সেই সুযোগ পাননি বাইচুং ভুটিয়া। কিন্তু কার্যকরী কমিটির সদস্য হয়ে রয়েছেন বাইচুং। এবারে বাইচুং সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন, বলেন, ‘সর্বভারতীয় সংস্থার কর্মকাণ্ড যত দেখছি, তত ভয় করছে। এইভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০০০ বছরেও দেশের ফুটবলের কোনও উন্নতি হওয়ার নয়।’
বাইচুং বলেন, ‘ভিসিয়ন ২০৪৭-কে কল্যাণ চৌবে শুধু খাতায় কলমেই রেখেছেন। এমন চলতে থাকলে ২০৪৭ কেন, ৩০৪৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। শুধু কথা বললেই হবে না, কাজেও করে দেখাতে হবে।’ বাইচুং এইদিন তৃণমূলের রাজ্য স্তরের কাজকেও দুষেছেন, বলেছেন, ‘আমি জানি এখন কেমন কাজ হয়। চাপ তৈরি হলে তবেই রাজ্যগুলি তৃণমূল স্তরে কাজ করে।
অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলারদের নিয়ে কেবলমাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের জন্য মাত্র কাজ হয়। মুখেই বলা হয় রাজ্য থেকে ২৫০০ বা ১০০০ জন ফুটবলারকে নিয়ে কাজ হয়েছে। সারা বছর কিচ্ছুই হয় না। স্রেফ এই ২৫০০ বা ১০০০ ফুটবলার নিয়ে কাজ করার জন্য একে অপরের পিঠ চাপড়ানো হয়। এভাবে উঠতি খেলোয়াড়দের উন্নতি সম্ভব না।’ আর এই কারণেই ভারতীয় ফুটবলারদের বিদেশি ক্লাবে খেলার পরামর্শ দিচ্ছেন একসময় নিজে বিদেশে গিয়ে ফুটবল খেলা বাইচুং।