মুম্বইয়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও প্রাক্তন নির্বাচক মিলিন্দ রেগে বুধবার ৭৬ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন। তাঁর স্ত্রী রাজ ও দুই সন্তান বর্তমান। ভারতের আইকন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকারের অত্যন্ত প্রিয় বন্ধু ছিলেন মিলিন্দ। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত গাভাসকার ও মুম্বই ক্রিকেট মহল।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তারপরে বাধ্য হয়েই তিনি খেলার মাঠ থেকে সরে গিয়েছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত ছিলেন। মুম্বই ক্রিকেট দলের উন্নয়ন কীভাবে হয়, সেই বিষয়ে তিনি বড় ভূমিকা নিতেন। একটা সময় মুম্বই দলের প্রধান নির্বাচক হিসেবেও কাজ করেছেন। প্রধান নির্বাচক হিসেবে মিলিন্দ যখন দায়িত্ব পালন করছিলেন, সেই সময়ই শচীন তেণ্ডুলকর দলে এসেছিলেন। মিলিন্দ বুঝেছিলেন, শচীন তেণ্ডুলকরের মধ্যে ভালো প্রতিভা রয়েছে, যা আগামী দিনে তার প্রকাশ পাবে।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের সোনালি যুগের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন মিলিন্দ। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার হিসাবে খেলতেন। ১৯৬৭-৬৮ থেকে ১৯৭৭-৭৮ পর্যন্ত টানা ৫২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন। ১২৬টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি করেছিলেন ১৫৩২ রান। মুম্বই যে সময়ে টানা ১৩ বার রঞ্জি জিতেছিল, সেই সময়ের ক্রিকেটার হলেন মিলিন্দ।
মুম্বইয়ের প্রভাদেবী এলাকার বাসিন্দা মিলিন্দ পড়াশোনা করেছেন সেন্ট জেভিয়ার্স হাইস্কুল এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। দু’টি জায়গাতেই সহপাঠী হিসাবে পেয়েছিলেন গাভাসকারকে। আজীবন তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আন্তঃবিদ্যালয় খেলার সময় মিলিন্দের কথাতেই গাভাসকার ওপেনার হিসাবে খেলা শুরু করেছিলেন।
কিছু দিন আগে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এমসিএ-র পক্ষ থেকে কয়েকজন ক্রিকেটারকে সম্মান জানানো হয়। ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের প্রথম রঞ্জি ম্যাচে যাঁরা খেলেছিলেন তাঁরা সেখানে ছিলেন। সেই দলে ছিলেন মিলিন্দও। শুধু তাই নয়, সেই ম্যাচে অর্ধশতরান করার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন মিলিন্দ রেগে।