• facebook
  • twitter
Wednesday, 16 April, 2025

দ্রুত কার্যকর করতে গ্রাউন্ড লেভেল ১০টি কমিটি গঠন

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। এবার এই প্ল্যান দ্রুত কার্যকর করতে তৎপরতা শুরু করল রাজ্য। গ্রাউন্ড লেভেলে ১০ টি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যেসব এলাকা দিয়ে প্রকল্পের কাজ হবে সেই এলাকার মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করবে এই কমিটিগুলি। কমিটিতে থাকবেন বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, কর্মাধ্যক্ষ, বিডিও, ওসিরা।

মূলত ঘাটাল, দাসপুর, কেশপুর, পাঁশকুড়া, তমলুক, চন্দ্রকোণা ইত্যাদি এলাকায় মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর হবে। এইসব এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলা, স্থানীয়দের মতামত নেওয়া, জমি নিয়ে আলোচনার কাজ করবে রাজ্যের তৈরি করা ১০টি কমিটি। অর্থাৎ এই মাস্টার প্ল্যান সম্পর্কে গ্রাউন্ড লেভেলে গিয়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা হবে।

সম্প্রতি সেচ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য কোনও জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। প্রয়োজন মতো জমি কিনে নেওয়া হবে বলে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বৃহস্পতিবার দাসপুর ও ঘাটালে দু’দফায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। এদিন প্রথমে দাসপুর এক নম্বর ব্লকের মিলনমঞ্চে দাসপুর এক ও দুই নম্বর ব্লকের সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসা হয়। পরে বিকেলে ঘাটাল শহরের টাউন হলে ঘাটাল ও চন্দ্রকোণা এক নম্বর ব্লকের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করা হয়।

জানা গিয়েছে, মোট সাড়ে ৩১ কিলোমিটার নদী পুনর্খনন করা হবে। সাড়ে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি স্লুইস গেট তৈরি করা হচ্ছে। ঘাটাল পুর এলাকায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি পাম্প হাউস নির্মাণ করা হবে। ঘাটাল পুরসভার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত শিলাবতী নদীর বাম পাড়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার গার্ডওয়াল তৈরি করা হবে। এর জন্য ইতিমধ্যেই ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মোট ৮৬ কিলোমিটার শিলাবতী নদী খনন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। নিউ কাঁসাই নদীর ৪৮.৭০ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে। নাড়াজোল সার্কিটের কাছে কিছু জলাশয় খনন করা হবে।

এছাড়াও দাসপুরে চন্দ্রেশ্বর খাল সম্প্রসারণ করে সুরতপুরে শিলাবতীর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। প্রায় ছয় কিলোমিটার এই খাল খননের জন্য কোনও জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। উপযুক্ত টাকা দিয়ে সমস্ত জমি কিনে নিতে চাইছে রাজ্য। এর জন্য মোট ৫.৮০ কিলোমিটার জমি সরাসরি ক্রয় করা হবে। জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা সহ আরও বিভিন্ন কাজ করতে গ্রাউন্ড লেভেলে ১০টি কমিটি গঠন করা হল। এই কমিটিগুলিই রাজ্য সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ে রিপোর্ট দেবে।