• facebook
  • twitter
Wednesday, 8 January, 2025

ইস্টবেঙ্গলে নতুন সদস্য বিদেশি স্ট্রাইকার রিচার্ড

ইস্টবেঙ্গলের সংসারে এলেন ভেনেজুয়েলার জাতীয় দলের আগুনে ফুটবলার রিচার্ড সেলিস। সেলিসের সঙ্গে চলতি মরশুমে শেষ পর্যন্ত চুক্তি করা হয়েছে বলে ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

ফাইল চিত্র

আইএসএল ফুটবলে ফিরতি ডার্বি ম্যাচ কলকাতায় হচ্ছে না। আগামী ১১ জানুয়ারি ডার্বি ম্যাচের জন্য ইতিমধ্যেই গুয়াহাটিতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এই ডার্বি ম্যাচকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চাইছে। তবে গত সোমবার মুম্বই সিটি এফসি’র সঙ্গে দুরন্ত লড়াই করেও ম্যাচ বের করে আনতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তাই স্বাভাবিকভাবে এই হারের (২-৩ গোলে) ফলে প্রথম ছয়ে থাকার দৌড় থেকে ছিটকে যেতে হচ্ছে লাল-হলুদ বাহিনীকে। তবুও ডার্বি ম্যাচের চ্যালেঞ্জটা একেবারেই আলাদা। সেকথা স্পষ্ট জানেন দলের কোচ অস্কার ব্রুজো। ব্রুজো আগেই কথা দিয়েছিলেন, ডার্বি ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলে নিয়ে আসা হবে এমন একজন ফুটবলারকে, যিনি মাঠ কাঁপাতে জানেন। সেই মাস্টার স্ট্রোকটা দিয়ে ফেললেন কোচ অস্কার।

ইস্টবেঙ্গলের সংসারে এলেন ভেনেজুয়েলার জাতীয় দলের আগুনে ফুটবলার রিচার্ড সেলিস। সেলিসের সঙ্গে চলতি মরশুমে শেষ পর্যন্ত চুক্তি করা হয়েছে বলে ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ২০১১ সালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে কলকাতায় খেলতে এসেছিল ভেনেজুয়েলা। সেই দলের হয়ে তিনি খেলেছিলেন। তাই ১৫ বছর বাদে আবার রিচার্ড সেলিস কলকাতায় পা রাখছেন।

রিচার্ড সেলিস একজন দুরন্ত স্ট্রাইকার। তিনি যেমন লেফট উইঙ্গার হিসেবে খেলতে পারেন, আবার সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবেও নজর কাড়তে জানেন। ইতিমধ্যেই তিনি ভেনেজুয়েলার বেশ কয়েকটি প্রথম শ্রেণির ক্লাবে খেলেছেন। তার মধ্যে রয়েছে অ্যাটলেটিকো ভেনেজুয়েলা, ডোপোর্টিভো জেভিএল, কারাকাস এফসি এবং একাডেমিয়া পুয়ের্তো ক্যাবেলো। ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলারের অভিজ্ঞতা নিয়ে কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না। তিনি ২০০-রও বেশি গোল করেছেন। ঘরোয়া ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার সম্মানও পেয়েছেন।

ভেনেজুয়েলার প্রিমিয়ার ডিভিশনে কারাকাস দলকে ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। আবার ২০২২ সালে মিলোনারিওসকে কোপা কলম্বিয়া ফুটবলে জেতার পিছনের তাঁর সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল। সেলিস ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে বলেন, আমি নিজেকে দারুণ খুশি মানুষ হিসেবে ভাবছি। ভালো লাগছে এবং রোমাঞ্চিত হচ্ছি, ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাস জানার পরে। দলের সমর্থকরা দারুণ আবেগপ্রবণ। তাই আশা করব, সমর্থকদের খুশি করার জন্য গোল করতে। এটা মনে রাখতে হবে, ফুটবল খেলায় একটাই লক্ষ্য গোল।

সেই গোল করতে পারাটাই হল সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আবার কোচ অস্কার ব্রুজো বলেছেন, রিচার্ডের প্রতিভা ও দক্ষতা নিয়ে কোনও কথাই উঠতে পারে না। ওঁর মধ্যে একটা গোল করার ক্ষিদে রয়েছে। তাই গোলের সুযোগ পেলে রিচার্ড গোল করতে পারলেই সবচেয়ে বেশি খুশি হন। আশা করা যায় তাঁর সাফল্য ভারতের মাটিতে দেখতে পাওয়া যাবে। এখন শুধু অপেক্ষা মাঠে নেমে রিচার্ড সমর্থকদের কাছে নতুন বার্তা দিতে পারেন কিনা। সবাই চাইবেন, রিচার্ডের পা থেকে গোল আসুক এবং ইস্টবেঙ্গল জিতুক।