প্লে অফ ম্যাচ খেলবার জন্য রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও দিল্লি ক্যাপিটালসকে অংক কষে খেলতে হবে। এই মুহুর্তে দুই দলের সামনে সেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে। তেরটা ম্যাচ খেলে বেঙ্গালুরু ও দিল্লি ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করলেও রান রেটে কোহলিরা এগিয়ে রয়েছে, তাই কঠিন একটা পরিস্থিতির সঙ্গে অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও দলনেতা শ্রেয়স আয়ারকে লড়াই করতে হবে। সেই কারণে অভিজ্ঞ কোহলি ও লড়াকু শ্রেয়সের রণকৌশল কী ভাবে প্রকাশ পাবে তা লাখ টাকার প্রশ্ন।
তবে শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে হারাতে হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে। আবার হার স্বীকার করতে হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালকে ডাক সাইটের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে স্বাভাবিকভাবে দুই দলের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরলেও প্লে অফ ম্যাচ খেলার তাগিদে সােমবারের ম্যাচটার রঙ অন্যরকম হয়ে যাবে। অর্থাৎ মরণ বাঁচন লড়াই দেখবার জন্য সবাই অপেক্ষায় থাকবেন।
আইপিএল টুর্নামেন্টের প্রথম দিকে বিরাট কোহলিরা যেভাবে আকাশে রামধনু দেখিয়ে ছিল তখন অনেকেই আশা করেছিলেন বেঙ্গালুরু জয়ের জন্য বড় পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের কাছে হারটা সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। অধিনায়ক কোহলি ব্যর্থ। মাত্র সাতটি রান দিয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত গেছেন। এ বি ডিভিলিয়ার্সের ব্যাট থেকে রান আসেনি। তিনি ২৪ বলে ২৪ রান করেন। একমাত্র ডেভিড ফিলিপ ওপেনার হিসাবে ৩২ রান দিয়েছেন।
তারপরই ব্যর্থতার সিড়িটা প্রকাশ পেয়েছে, দেবদত্ত ও মরিসের ব্যাট আশাহত করেছে। ওয়াশিংটন নিজের স্বভাবসিদ্ধ ব্যাট করতে পারেননি। ২০ ওভারে মাত্র ১২০ রান করে জয় পাওয়াটা বেশ কষ্টকর। তাই হল হায়দাবাদ পাঁচ উইকেট ১২১ রান তুলে শুধু জয় পেলাে তা নয় চিন্তার মধ্যে রেখে দিল কোহলিদের।
অবশ্য দিল্লি ক্যাপিটালস দলের কাছে ম্যাচ ছিল মুম্বইয়ে কাছে। চড়া মেজাজে মুম্বইয়ের খেলােয়াড়রা বিপক্ষ দলকে কোণঠাসা করে দিচ্ছে। সত্যি তাই ২০ ওভারের খেলায় দিল্লি মেলের যাত্রা থমকে গেল নয় উইকেটে ১১০ রান করে। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ও ঋষভ পন্থ ছাড়া কেউই কুড়ি রান টপকাতে পারলেন না। মুম্বইয়ে রনংদেহি চেহারা দেখে প্রতিপক্ষ দল বােধহয় চুপসে গিয়েছিল।
বােলার যশপ্রীত বুমরা ও ট্রেন্ট বােল্টের বিধ্বংসী বােলিংয়ের কাছে দিল্লির ব্যাটসম্যানরা মুখ থুবড়ে পড়েন। ম্যাচ জেতার জন্যে মুম্বইয়ের কোনও চিন্তাই করতে হয়নি। নয় উইকেটে জয়টা সহজে চলে আসে মুম্বইয়ের ঘরে। তাই এই হারটা দিল্লিকে ভাবাচ্ছে। তবুও মরণ কামড় দেওয়ার জন্যে তৈরি শ্রেয়স আইয়ারের দল দিল্লি।
আশা করা যায় ঘুরে দাঁড়াবার জন্যে কিছু ছক পরিবর্তন করবে দিল্লি দল। পৃথি শ, শ্রেয়স, ঋষভ, হেটমাইয়ার বা স্টোরনিসরা নতুন উদ্যমে খেলতে পারেন তবে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে লড়াইটা জমে উঠবে। সেই কারণে সােমবারের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও দিল্লি ক্যাপিটালের ম্যাচটা দারুণ উপভােগ্য হয়ে উঠবে। তবে টস দুই দলের কাছে ভাইটাল। অধিনায়ক বিরাট কোহলি যেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন তেমনি দলনেতা শ্রেয়স আইয়ার লড়াকু মনােভাব প্রকাশ করবেন।