কোচ হাবাস মাঠে না থাকলেও মোহনবাগানের পাখির চোখ সুনীল ছেত্রীদের হারাতে হবে

নিজস্ব প্রতিনিধি— আইএসএল ফুটবলে এখন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের কাছে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় লিগ-শিল্ড জয় করা সম্ভব হবে কিনা৷ তারপরে কোচ হাবাসের জ্বর নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই খেলোয়াড়দের কাছে৷ বৃহস্পতিবার সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি-র সঙ্গে মুখোমুখি হবে মোহনবাগান৷ কিন্ত্ত এই খেলায় কোনওভাবে কোচ হাবাসকে মাঠে দেখতে পাওয়া যাবে না৷ তার অনুপস্থিতিতে সবুজ মেরুন শিবির বেশ কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে পড়ছে৷ বর্তমানে সহকারি কোচ ম্যানুয়াল বলেছেন, আমাদের অবশ্যই লড়াইয়ের মধ্যে থাকতে হবে৷ সুনীল ছেত্রীদের বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে হবে৷ এটা ঠিক কোচ হাবাস মাঠে থাকলে যে পরিবেশ তৈরি হয়, তা থেকে কিছুটা পিছিয়ে হয়তো পড়তে হয়৷ তবুও খেলোয়াড়রা মানসিক দিক দিয়ে তৈরি রয়েছেন কিভাবে এই লড়াইয়ে জিততে হবে৷ শুধু তাই নয় কোচ হাবাসের কাছ থেকে যে পরামর্শ পাওয়া গিয়েছে, সেই ভাবে লড়াই করবে দল তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷

ওড়িশা এফসি-কে হারিয়ে লিগ ও শিল্ড জয়ের দিকে অনেকটাই বড় পদক্ষেপ রেখেছে মুম্বই এফসি দল৷ এক ম্যাচ বেশি খেলে মোহনবাগান থেকে মুম্বই দল ৫ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে৷ শেষ ম্যাচ ড্র করলে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে৷ মোহনবাগানকে কি চাপে পড়তে হয়েছে মুম্বই দল ওড়িশার বিরুদ্ধে জয়ের কারণে? সহকারি কোচ ম্যানুয়াল বলেছেন, চাপ তো থাকবেই৷ গত ম্যাচের সময় চাপে ছিলাম৷ তাই নতুন করে কিছু ভাববার অবকাশ নেই৷ আমাদের লক্ষ্য একটাই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট ছিনিয়ে আনতে হবে৷ ইতিমধ্যেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গলের কাছে সুনীল ছেত্রীরা হেরে যাওয়ায় তাদের আর সুপার সিক্সে খেলার কোনও সম্ভাবনাই নেই৷ তবুও বেঙ্গালুরু দলের মোটিভেশনে কোনও ঘাটতি হবে? এ কথা মানতে চান না সবুজ মেরুন শিবিরের সহকারি কোচ৷ বেঙ্গালুরু দল সুপার সিক্সে না থাকলেও এটা মনে রাখতে হবে আমাদের কাছে মর্যাদার লড়াই৷ কোনওভাবেই হালকা চালে খেলবার চেষ্টা করা হবে না৷

এদিকে জামশেদপুর ও গোয়া ম্যাচে একই অবস্থা হয়েছে৷ তাই প্লে অফের দৌড়ে না থাকা খুব একটা বেশি পার্থক্য গড়ে দেবে না৷ প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চায় মোহনবাগান৷ এটা মনে রাখতে হবে বেঙ্গালুরু দলে বেশ কয়েকজন জাতীয় ফুটবলার রয়েছেন৷ যে দলে সুনীল ছেত্রীর মতো ফুটবলার থাকেন, সেই দলকে অবশ্যই সমীহ করতে হবে৷ সুনীল ছেত্রী বাদেও এই দলে উইলিয়াম ও ফার্নান্ডেজের মতো বিদেশি খেলোয়াড় রয়েছে৷ তাই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে লটড়াইটা সব সময় অন্যরকম হয়ে থাকে৷ সুনীল ছেত্রীকে যদি আটকে রাখতে পারা যায় তাহলে ম্যাচ জেতাটা খুব একটা কঠিন হবে না৷ সবুজ মেরুন শিবিরের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হেক্টর জয় নিয়ে আশাবাদী৷ তিনি বলেন, আমাদের সামনে যে ম্যাচগুলি রয়েছে সে ম্যাচগুলি জিততেই হবে৷ অবশ্য দুটো ম্যাচ বাকি রয়েছে৷ কঠিন পরিস্থিতি৷


এদিকে মোহনবাগানের সবচেয়ে ভরসার নাম পেত্রাতোস৷ তিনি গোলের মধ্যে রয়েছেন৷ সুযোগ পেলেই তিনি গোল করতে জানেন৷ তারপরেই রয়েছেন কাউকো ও জেসন কামিন্স৷ সম্মিলিত আক্রমণ থেকে তাঁরা প্রতিপক্ষ দলকে চাপের মধ্যে রাখতে পারবেন৷ মনবীর সিং বড় ভূমিকা নিতে চাইছেন৷ তবে সবার মুখেই একটাই কথা শোনা যাবে কোচ হাবাস মাঠে না থাকাটা বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এটাও মনে রাখতে হবে অনেক সময় পচা শামুকে পা কেটে যায়৷ সেদিকেও নজর রাখতে হবে মোহনবাগানের খেলোয়াড়দের৷