মহমেডান স্পোর্টিং বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিল এরিয়ানকে

কলকাতা ফুটবল লিগে প্রিমিয়ার ডিভিশনের খেলায় সোমবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে মহমেডান স্পোর্টিং বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিল এরিয়ানকে। সাদা-কালো ব্রিগেড জয় পেল ৪-১ গোলের ব্যবধানে । এককথায় বলা যায়, এরিয়ান ক্লাবের কোনও ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়নি খেলার মধ্যে। একটা সময় এরিয়ান ক্লাব বলতেই তিন প্রধানের কাছে ভয়ের কারণ ছিল। কিন্তু এদিন এরিয়ানের খেলা দেখে মনেই হয়নি কোনও বড় দলের সঙ্গে তারা লড়াই করছে। মুষ্টিমেয় দর্শক খেলা দেখে বেশ খুশিই হয়েছেন। তাঁদের কাছে বাড়তি পাওনা হয়েছে ইশরাফিল দেওয়ানের হ্যাটট্রিক। খেলার প্রথম থেকেই মহমেডান স্পোর্টিংয়ের ফুটবলাররা আক্রমণে আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে খেলতে থাকেন। সেই আক্রমণের সামাল দিতে গিয়ে এরিয়ানের ফুটবলাররা এলোমেলো হয়ে যান। ইতিমধ্যেই ঘরোয়া ফুটবল লিগে ইশরাফিলের খেলা সবার নজর কেড়েছে। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। আসলে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের কাছে এই খেলাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার প্রধান কারণ হল গ্রুপের প্রথম তিনে থাকার জন্য। এই জয়ের সুবাদে চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে মহমেডান থেকে গেল।

তবে, খেলার কুড়ি মিনিটের মাথায় এরিয়ানের পঙ্কজ রায় ফ্রিকিক থেকে দারুণ গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তখন সকলেই ভেবেছিলেন এরিয়ানের খেলোয়াড়রা হয়তো মহমেডান স্পোর্টিংকে চাপে ফেলে খেলায় জিতে যাবেন। কিন্তু সেই ভাবনা একেবারেই পাল্টে গেল। তবে এরিয়ানের গোল করার ক্ষেত্রে মহমেডানের গোলরক্ষক শুভাশিস ভট্টাচার্যের কিছু করার ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে মহমেডান স্পোর্টিংকে অনেক বেশি আক্রমণমুখী দেখা যায়। খেলার ৫২ মিনিটের  মাথায় মহীতোষ রায়ের গোলে মহমেডান স্পোর্টিং সমতা ফিরিয়ে আনে।

তারপর একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের ফুটবলাররা এরিয়ানকে প্রায় কোণঠাসা করে রেখে দেন। ৫৯ মিনিটে ২৩ বছর বয়সী ইশরাফিল গোল করে মহমেডান স্পোর্টিংকে (২-১) এগিয়ে দেন। দ্বিতীয় পর্বের সংযুক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল ৮ মিনিট। ওই আট মিনিটের মধ্যে দু’টি গোল করেন ইশরাফিল এবং তিনি হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখান। গতবারের চ্যাম্পিয়ন মহমেডান স্পোর্টিং প্রথম দিকে যেভাবে খেলা শুরু করেছিলেন, তাতে সমর্থকরা ভেবেছিলেন, হয়তো সুপার সিক্সে খেলার সুযোগ থাকবে না। কিন্তু এদিনের খেলা শেষে সেই ধারণা হারিয়ে গেল সাদা-কালো শিবিরের সমর্থকদের।