ইংল্যান্ড প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ে যথেষ্ট সম্ভানা সৃষ্টি করলেও তাদের চিরন্তন প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হারানাের জন্য ইওন মর্গানের দলকে বিশেষ প্রয়াস চালাতে হবে কারণ অস্ট্রেলিয়া আগেই রেকর্ড পাঁচবার বিশ্বকাপ জয় করেছে।
২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড প্রথম রাউন্ডে ছিটকে গিয়েছিল। চারবছর পর তারাই এখন বিশ্বের অবিশ্বাস্য শক্তিধর একদিনের ম্যাচের দল তৈরি করেছে। যে আগুনে শক্তি ইংল্যান্ডের রয়েছে তা দেখে বহু বর্তমান এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ১৯৬৯, ১৯৮৭ এবং ১৯৯২ সালে ফাইনালে উঠেও যারা কাপ জিততে পারেনি সেই ইংল্যান্ডের কাছে এই বিশ্বকাপ না জেতার কোনও কারণ নেই।
ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ জয়ের মাঝখানে বাধা এখন অস্ট্রেলিয়া। তারা বিশ্বকাপে এতটাই ধারাবাহিক পারফরমেন্স করেছে যে কখনাে সেমিফাইনালে উঠে হারেনি। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া তাতে ছয়বার জিতেছে, যারমধ্যে ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় তারা নাটকীয়ভাবে জেতে।
চারমাস আগে এই অস্ট্রেলিয়া দলটির ওপর বাজি ধরার জন্য বেশি লােক পাওয়া যেত না কিন্তু চার মাসের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছে। যার সুচনা গত মার্চে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় দিয়ে।
যদিও অস্ট্রেলিয়া দলটিকে অতীতে অপরাজেয় আখ্যার মধ্যে ফেলা যাচ্ছে না। কিন্তু পরিস্থিতির প্রয়ােজনে তারা উঠে দাঁড়াতে পারে এই বিশ্বাসটুকু অবশ্যই রাখা যায়। এই সােমবারই এজবাস্টন মাঠের আউটফিল্ডে গােটা অস্ট্রেলিয়া দলটি যখন খালি পায়ে দৌড়াচ্ছিল তখনই ইঙ্গিত পাওয়া যায় সেমি ফাইনাল ম্যাচের আগে তারা কতখানি রিল্যাক্সড।
অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার বৃহস্পতিবারের ম্যাচের আগে বলেছিলেন, যদি বারাে মাস আগে ফিরে যান তবে রিল্যাক্সড করার কিছু ছিল না এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট একদম ঠাণ্ডা হয়েছিল গিয়েছিল এটাই সত্য। আমরা আমাদের ক্রিকেটে একটি বড় সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি তখন। এটা আমাদের ক্রিকেটকে যতখানি প্রভাবিত করেছে তারচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল দেশ। তখন রিল্যাক্স কারের মতাে কিছু ছিল না। কিন্তু তারপর কঠিন পরিশ্রম এবং ভাল ক্রিকেট খেলার দিকে ফোকাস করে আজ আমরা এই জায়গায় এসেছি।
ইংল্যান্ড হয়তাে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তাদের শেষ বারােটি ম্যাচের দশটিতেই জিতেছে। কিন্তু ইংল্যান্ড নিজেই জানে যে পরিসংখ্যানের মূল্য বলে কিছু নেই। বিশেষ করে এই বিশ্বকাপের লিগ পর্যায়ে ইওন মর্গানের দল অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬৪ রানে হেরে যাওয়ার পর দুটি দলের কাছেই পেস আক্রমণই এক্স ফ্যাক্টর।
ইংল্যান্ডের কোনও আঘাতজনিত সমস্যা নেই কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কোচ ল্যাঙ্গার ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তাঁর প্রথম একাদশে আহত উসমান খাওয়াজার বদলে পিটার হ্যাডন্সকমকে নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া অলরাউন্ডার মার্কাস টনিস দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে শরীরের পাশের দিকে পেশির টান অনুভব করলেও তা থেকে সম্পূর্ণ ফিট হয়ে গিয়েছেন।