শনিবার ইন্দোরে শেষ হতেই কলকাতায় দ্বিতীয় টেস্টের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে। কলকাতায় দিন-রাতের টেস্টের ম্যাসকট পিঙ্কু ও টিঙ্কু রবিবার বাের্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির হাতে ইডেনের টিকিট তুলে দিল।
ইডেন শনিবার থেকেই সেজেছে গােলাপী বেলুনে। রবিবার আরও গােলাপী বেলুন ওড়ানাে হল ইডেনের চারপাশে। সেই সঙ্গে টিকিটের হাহাকার তুঙ্গে উঠেছে। অন লাইনে ইতিমধ্যেই প্রথম তিন দিনের টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছে। বিক্রির জন্য কত টিকিট কাউন্টারে থাকবে সেই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেল। শনিবার কাউন্টার থেকে টিকিট না পেয়ে একদফা বিক্ষোভও হয় ইডিনের সামনে।
এদিকে ঘুর্ণি ঝড় বুলবুলের কারণে বৃষ্টি ইডেনের পিচ কিউরেটার সুজন মুখার্জির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ এনে দিলেও ইডেন টেস্টের চারদিন বাকি থাকতে রবিবার তিনি নিশ্চিত যে দর্শকরা ইডেনে ভালাে খেলাই দেখতে পাবেন।
সাধারণ নভেম্বর মাসে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে শুকনাে থাকে কিন্তু ঘূর্ণি ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি গত সপ্তাহে সুজনবাবুদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। কিন্তু আবহাওয়া আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। পিচও আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।
রবিবার সেন্ট্রাল পিচে রােলিংয়ের কাজ শুরু হল। সুজনবাবু বলেছেন গত কয়েক বছরের মতাে পিচ এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সুজনবাবু জানান, তিনি চেয়েছিলেন এই পিচে একটি ট্রায়াল ম্যাচ হােক। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে সেটা করা সম্ভব হয়নি। সবুজ পিচে বাউন্সও থাকবে যথেষ্ট বলেই তার বিশ্বাস।
এদিকে গােলাপী বল কয়েকদিন আগেই ইডেনে এসে গিয়েছে। সুজন মুখার্জি ইডেনের পিচে তার পরীক্ষা করে দেখে নিতে চান। তবে তাঁর মতে লাল বল ও গােলাপী বলের মধ্যে পার্থক্য খুব বেশি কিছু হবে না। ইডেনের পিচ এর আগেও টেস্ট ম্যাচের সময় যে রকম ব্যবহার করেছে এবারও সে রকম করবে।
তবে সিএবি সূত্রে যেটা জানা গেল তা হচ্ছে একটি লাল বল প্রস্তুত করতে যেখানে দু’দিন মাত্র সময় লাগে সেখানে গােলাপী বল প্রস্তুত করতে লাগে আট দিন।