• facebook
  • twitter
Thursday, 27 March, 2025

ইস্টবেঙ্গল প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখল পাঞ্জাবকে হারিয়ে

এককথায় বলা যায়, পাঞ্জাবের ফুটবলাররা কোনওভাবেই জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। খেলার প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে এগিয়েছিল।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ইস্টবেঙ্গল আইএসএল ফুটবলে প্রথম ছয়ের মধ্যে নাম লেখাতে পারবে কিনা, তা নিয়ে অনেক অঙ্ক কষা হয়েছে। কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয়, সেই জায়গায় লাল-হলুদ ব্রিগেড পৌঁছতে পারবে কিনা। তা বেশ কঠিন। সামনে বেশ কয়েকটি দল রয়েছে। তাদের কীভাবে টপকাতে পারবে ইস্টবেঙ্গল, সেখানে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে শনিবার দিল্লির মাঠে ইস্টবেঙ্গল দারুণ ফুটবল খেলল পাঞ্জাব এফসি’র বিরুদ্ধে।

ইস্টবেঙ্গল ৩-১ গোলে পাঞ্জাব এফসি’কে হারিয়ে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটালো। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গল পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম লেগের খেলায় ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছিল। আর এদিন ইস্টবেঙ্গল দারুণ খেলল। এককথায় বলা যায়, পাঞ্জাবকে কোনও সময়ের জন্যই বড় ভূমিকা নিতে দেয়নি। ইস্টবেঙ্গলের বড় সমস্যা ছিল খেলোয়াড়দের চোট ও আঘাত।

তারপরেও রয়েছে গোলমুখে পৌঁছেও ব্যর্থ হওয়া। ইস্টবেঙ্গল ঝকঝকে ফুটবল খেলল পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো প্রথমেই চমক দিলেন মাঝমাঠে ডিফেন্ডার আনোয়ার আলিকে এনে। আনোয়ারকে দেখা গেল অনেক সময় বল পেলেই আক্রমণে উঠে এসে সতীর্থ খেলোয়াড়দের বল তুলে দিতে। এমনকি দিমিত্রিয়াস দিয়ামান্তাকোসকে বলা হত গোলকানা। কিন্তু সেই দিয়ামান্তাকোস খেলার ১৫ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে আরও বেশি আক্রমণমুখী হয়ে ইস্টবেঙ্গল দাপট দেখাতে থাকে। এককথায় বলা যায়, পাঞ্জাবের ফুটবলাররা কোনওভাবেই জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। খেলার প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে এগিয়েছিল।

দ্বিতীয় পর্বে খেলার শুরু থেকেই বিদেশি ফুটবলার মেসি বাউলি যেভাবে বল কন্ট্রোল করে প্রতিপক্ষ দলের সীমানায় বারবার প্রবেশ করছিলেন, তখনই বোঝা গিয়েছিল, ইস্টবেঙ্গলকে এদিন রুখে দেওয়া সম্ভব হবে না। তারই ফসল হিসেবে ৪৬ মিনিটে অর্থাৎ বিরতির এক মিনিট বাদেই ইস্টবেঙ্গল আবার গোল পেয়ে যায়। দুরন্ত একটা কাট করে মেসি পিভি বিষ্ণুকে বলটি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গোল করার জন্য যখন বিষ্ণু এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই পাঞ্জাবের গোলরক্ষক এগিয়ে এসে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। সেই সুযোগেই বলটি পেয়ে যান সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নাওরেম মহেশ সিং।

তিনি সেন্টার বক্স থেকে জোরালো শট নেন গোলমুখে। পাঞ্জাবের গোলরক্ষক কিছুই বুঝতে পারেননি, কখন যে বল জালে জড়িয়ে গেছে। ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় গোল দেখে সমর্থকরা গ্যালারিতে চিৎকার করে ওঠে। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। খেলার ৫৩ মিনিটের মাথায় আবার গোল লাল-হলুদ ব্রিগেডের। এবারে গোলদাতা মিজোরামের ফুটবলার লালচুনুঙ্গা। বলটি পেয়েছিলেন পিভি বিষ্ণুর কাছ থেকে। লালচুনুঙ্গা গোল করতে ভুল করেননি। খেলার ৬২ মিনিটে পাঞ্জাবের হয়ে গোলের ব্যবধান কমান ভিদাল। ইস্টবেঙ্গলের এই জয় অবশ্যই কোচ অস্কার ব্রুজোকে কিছুটা স্বস্তি দেবে।