হারের সরণিতে নাম লিখিয়েছে ইস্টবেঙ্গল

হারের লজ্জায় একের পর এক ম্যাচে মুখ ঢাকতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গেলকে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে আইএসএল ফুটবলে হারের সরণিতে নাম লিখিয়ে ফেলেছে লাল হলুদ ব্রিগেড। হারের হ্যাটট্রিক হওয়ার পরে তড়িঘড়ি করে কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতকে সরিয়ে দিয়ে কর্মকর্তাদের অপদার্থতা লুকাতে চেষ্টা করেন। আবার ফুটবলারদের ব্যর্থতা প্রকাশ্যে না আসে তার একটা চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আসল খোলসটা বের হয়ে গেছে শনিবার জামসেদপুরের মাঠে। কোচ বদল করেও, কোনও পরিবর্তন এলো না খেলায়। জামশেদপুর ফুটবল ক্লাব ২-০ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দিয়ে চলতি মরশুমে আইএসএল ফুটবলে চমক দিতে।

লাল হলুদ ফুটবলারদের গোলের সুযোগ হাতছাড়া করা। আবার পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারা। তাই ইস্টবেঙ্গলের হতাশার আকাশটা আরও বড় হচ্ছে। আগামী ১৯ অক্টোবর ডার্বি ম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ইস্টবেঙ্গলের চিন্তার পাহাড়টা ক্রমেই শক্ত হচ্ছে। এদিন পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলেন না ক্রেসপো। দুটি শট বারে লাগল। ফাঁকা গোলে বল রাখতে পারলেন না ক্লেটন সিলভা। তাইতো খেলার শেষে ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের বিধ্বস্ত দেখা গেল। নতুন কোচ বিনো জর্জ লাল হলুদ ফুটবলাদের নিয়ে কিছুই করতে পারলেন না। সেই হার দেখতে হলো।

বিপক্ষে জমাশেদপুরের ফুটবলাররা ছোট ছোট পাস খেলে ইস্টবেঙ্গলের ছন্দকে নষ্ট করে দেন। খেলার ২১ মিনিটের মাথায় জাপানের ফুটবলার রেই তাচিকাওয়ার জোরালো শট গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারের পক্ষে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। অবশ্য তার চার মিনিট আগে জর্ডন মারের হেজ বাঁচিয়ে ছিলেন দেবজিৎ। পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা সমতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। এমন কী দ্বিতীয় পর্বে গতি বাড়িয়ে ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ গড়ে তোলে। গোলের সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন ক্লেটন। ক্লেটনকে ফাউল করেন বক্সের মধ্যে জাভি হার্নান্দেজ। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল ক্রেসপোর শর্ট গোলরক্ষক আলবিনো গোমসের হাতে জমা পড়ে। ৭০ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের লালচুংনুঙ্গার আত্মঘাতী গোলে জামশেদপুর ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। খেলার শেষের দিকে চাপ বাড়িয়ে হার বাঁচাতে পারেনি লাল হলুদ ব্রিগ্রেড।