ইস্টবেঙ্গল শিবিরে একের পর এক ফুটবলার চোট পাওয়ায় কোচ অস্কার ব্রুজো বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। গত ম্যাচে বিদেশি ফুটবলার মাদিহ তালাল চোট পেয়েছেন। একের পর এক বিদেশি ফুটবলার চোট পাওয়াতে দলের অবস্থানকে অনেকটাই বদলে ফেলতে হচ্ছে কোচকে। মাঝমাঠ সবসময়ই আক্রমণে উৎস। সেই মাঝমাঠের খেলোয়াড় যদি চোট পেয়ে মাঠের বাইরে থাকেন, তাহলে সমস্যা তৈরি হবেই। কোচ অস্কার ব্রুজো বলেছেন, ওড়িশার ম্যাচে হুগো বুমোসের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে চোট পান তিনি। তাঁর সেই চোটের কারণেই হয়তো যা অবস্থা, গোটা মরশুমে হয়তো তাঁকে পাওয়া যাবে না। তাই তালালের পরিবর্তে একজন ফুটবলারকে সই করানোর প্রয়োজন রয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। এই অবস্থায় মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার জনি কাউকোর সঙ্গে কথাবার্তা বলা শুরু করেছে লাল-হলুদ কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার পায়ে চোট পাওয়ার পর তিনি রিজার্ভ বেঞ্চে চুপচাপ বসেছিলেন। পরে ওড়িশার দুই ফুটবলারের কাঁধে ভর করে ড্রেসিং রুমে যান। মাঠ থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন হুইল চেয়ার করে। শুক্রবার এমআরআই রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ক্রশিয়েন্ট লিগামেন্টে ভালোভাবে চোট রয়েছে। যে কোনও ফুটবলারের কাছে এই চোট অবশ্যই ভাবিয়ে তুলবে এবং এই চোট বেশ বড়। তাই দীর্ঘ দিনের জন্য তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হবে। কমপক্ষে চোট সারাতে ছয় থেকে নয় মাস সময় লাগে।
ইস্টবেঙ্গল তাই তালালকে আনরেজিস্টার্ড করিয়ে নতুন ফুটবলারকে সই করাতে পারে। মোহনবাগানের কাউকে গত মরশুমে লিগ-শিল্ড জেতার ব্যাপারে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ইউরো কাপ ফুটবল খেলা ফুটবলারকে মোহনবাগান দল চলতি মরশুমে রাখেনি। এখন কাউকো আইলিগে ইন্টারকাশির হয়ে খেলছেন। ইন্টার কাশীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তাদের। তবে এখনও কাউকোর ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কাউকে নিজে ভাবছেন আইলিগ ছেড়ে যদি আবার আইএসএল ফুটবলে খেলার সুযোগ আসে, তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে। তবে কীভাবে ইন্টার কাশীর সঙ্গে চুক্তি ভাঙা হবে, সে বিষয়ে মতামত বিনিময় করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে ট্রান্সফার উইন্ডোতে কাউকোকে নেওয়া হতে পারে। এদিকে দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস ফিরতে পারেন পাঞ্জাব ম্যাচে। তিনি একথা নিজেই জানিয়েছেন। এখন অপেক্ষা করতে হবে। তবে সাউল ক্রেসপোর চলতি মরশুমে মাঠে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললে চলে। তাই আগামী বছরে কলকাতার ডার্বি লিগে তাঁকে খেলানোর কথা ভাবা হচ্ছে।