শতবর্ষের আবহে ইস্টবেঙ্গলের দুরন্ত জয় দেখে সমর্থকরা যেন উত্তাল হয়ে উঠেছিলেন। তাই তাে খেলার শেষে সেই আবেগেই গ্যালারি থেকে শ’য়ে শ’য়ে সমর্থকরা মাঠে প্রবেশ করেছিলেন খেলােয়াড়দের পরশ পেতে।
ভাবতেও পারা যায়নি ডুরান্ড অভিযানে শনিবার এই দৃশ্য উপভােগ করা যাবে। সমর্থকরা খেলােয়াড়দের সঙ্গে সেলফি ও ছবি তুলতেই ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মাঠের মধ্যেই। পরিবেশ এমন একটা জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছিল। তাই পুলিশ সমর্থকদের লাঠি উঁচিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।
এদিন বৃষ্টিভেজা মাঠে ইস্টবেঙ্গল ২-০ গােলে আর্মি রেড দলকে হারিয়ে জয় তুলে নিল। খেলার শুরু থেকেই আলেজান্দ্রোর দল আক্রমণের পর আক্রমণ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু, সেই আক্রমণ থেকে প্রথমার্ধে কোনও গােল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে তার বিপরীত চিত্র দেখতে পাওয়া যায়।
ইস্টবেঙ্গলকে প্রথমার্ধে দেখে মনে হয়েছিল এটা একটা অপরিচিত দল। আত্মবিশ্বাস যেন হারিয়ে ফেলছিল খেলােয়াড়রা। একের পর এক আক্রমণ গড়ে তােলার পরেও কোনওভাবেই গােলের নিশানায় পৌঁছাতে পারছিলেন না লাল হলুদ শিবিরের ফুটবলাররা তবে বেশ কয়েকবার বল বারে অথবা পােস্টে লেগে ফেরত আসে।
কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে শুরু থেকে খেলার চেহারা বদলে দিয়ে জোড়া গােল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আক্রমণ রুখে দেওয়ার জন্য হঠাই স্যান্টোস কোলাডােকে আর্মির গােলরক্ষক হাত দিয়ে টেনে ধরেন অবশ্য গােলবক্সের বাইরে রেফারি সঙ্গে সঙ্গে বাঁশি বাজিয়ে ফ্রি কিকে নির্দেশ দেন।
ফ্রি কিক থেকে দারুণ গােল করে স্যান্টোস কোলাডাে। অবশ্য এর আগেও কোলাডাের একটি শট বারে প্রতিহত হয়। ঠিক একইভাবে বৈথাংয়ের শটটিও বারে লেগে ফেরত আসে। পিছিয়ে থেকেও মাঝেমধ্যে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করলেও আর্মির ফুটবলাররা সেভাবে সুযােগ তৈরি করতে পারেনি।
খেলার পঁচাশি মিনিটের মাথায় ফ্রি-কিক থেকে বিদ্যাসাগর ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দ্বিতীয় গােলটি করেন (২-০)।