বাংলার ক্রিকেট সংস্থার ব্যর্থতা এবারে বড় করে দেখতে পাওয়া গেল। কল্যাণী ক্রিকেট একাডেমির মাঠ চারদিনেও তৈরি করা সম্ভব হল না। ভাবতে অবাক লাগে, প্রথম দিন বৃষ্টির জন্য খেলা স্থগিত রাখা হলেও পরের তিনদিনে সেই মাঠকে কেন ব্যবহার করা গেল না, তার উত্তর সেইভাবে কেউই দিতে পারেননি সিএবি’র কর্মকর্তারা। এত আধুনিকতা, এত তৎপরতা, এত ব্যস্ততা, তবুও টানা চারদিন খেলার উপযোগী করে তুলতে মাঠ খেলার জন্য উপহার দেওয়া সম্ভব হল না। তারপরে জোর গলায় বলতে হবে, বাংলার ক্রিকেট এগিয়ে চলেছে। ভাবতেও অবাক লাগে।
এদিকে রোদ্দুর উঠছে, কিন্তু মাঠের আউটফিল্ড ভিজে থাকছে, সেটা কীভাবে হয়। এখানে বাংলা দল পুরো পয়েন্টের আশায় দুর্বল বিহার দলের সঙ্গে লড়াই করবে, সেই জায়গাটাই পুরোপুরি নস্যাৎ হয়ে গেল। তাহলে কি সিএবি’র কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে সমীক্ষা করবেন? নাকি, অন্য কথা বলে ব্যাপারটি লঘু করে দেবেন। এটা তো ঠিক, হোম ম্যাচ হলে আরও বেশি তৎপর হওয়া দরকার ছিল। সবসময় অ্যাওয়ে ম্যাচে একটা চাপ থাকে। তাই বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা ভেবেছিলেন, যদি বিহারকে সরাসরি হারিয়ে দিতে পারা যায়, তাহলে ভালো জায়গায় থাকবে এবারের রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেটে।
বাংলা রঞ্জি ট্রফি শুরু করেছিল উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে। কিন্তু জেতার দোরগোড়ায় পৌঁছেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা বাংলা ড্র করে। যার ফলে বাংলার ঘরে আসে তিন পয়েন্ট। সোমবার রঞ্জি ট্রফির চতুর্থ দিনেও খেলা যখন হল না, তখন কোচ থেকে খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষায় মনে হয়েছে, তাঁরা পুরোপুরি হতাশ। অনেকটাই বিধ্বস্ত বাংলা শিবির। অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার বলেছেন, নিশ্চিতভাবে আমরা এই ম্যাচে ভালো খেলে জিততে পারতাম।
এমনকি বোনাস পয়েন্টও পাওয়ার জন্যও লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকতাম না। এই ম্যাচটা আমাদের কাছে একটা বড় ধাক্কা। প্রথম দিন বৃষ্টির জন্য আর তিনদিন খেলা হল না এটা ভাবা যায়। এই ধরনের ঘটনা অতীতে কোনওদিন হয়েছে কিনা, জানা নেই। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, নকআউটে গিয়ে কী অঙ্ক হবে, সেটা তো পরের ভাবনা। কিন্তু এই খেলা না হওয়ায়, আমরা অত্যন্ত হতাশ। খেলা না হওয়ায় দুই দলই ১-১ পয়েন্ট পাওয়ায় কিছুটা পিছিয়ে পড়তে হল। বাংলাকে পরের ম্যাচ খেলতে হবে শক্তিশালী কেরলের বিরুদ্ধে। হোম ম্যাচ হলেও লড়াইটা কিন্তু খুব সহজ হবে না, তা স্পষ্ট জানিয়েছেন কোচ লক্ষ্মীরতন।