• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

করােনায় স্বপ্নভঙ্গ: পা থেকে সরল ফুটবল, মাথায় উঠল ইটের বােঝা

করােনায় স্বপ্নভঙ্গ। পা থেকে সরল ফুটবল, মাথায় উঠল ইটের বােঝা ... এর থেকে দুঃখজনক ঘটনা আর কি হতে পারে। হ্যাঁ, এমনটাই হয়েছে ভারতীয় ক্রীড়াজগতে।

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

করােনায় স্বপ্নভঙ্গ। পা থেকে সরল ফুটবল, মাথায় উঠল ইটের বােঝা … এর থেকে দুঃখজনক ঘটনা আর কি হতে পারে। হ্যাঁ, এমনটাই হয়েছে ভারতীয় ক্রীড়াজগতে। ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন গত বছর। কিন্তু করােনার জন্য সারা দেশে লকডাউন হয়ে যাওয়ায় সুযােগ আসেনি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার।

তাই স্বপ্নটাকে দূরে সরিয়ে রেখে পেট চালানাের জন্য মাথায় ইটের বােঝা চাপিয়ে নিয়ে। সংসার চালাচ্ছেন সঙ্গীতা সােরেন। ধানবাদের বাসমুদি গ্রামের এক ইট ভাটায় কাজ করেন সঙ্গীতা।

তবে গতবছর লকডাউনের সময় ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সােরেন গত বছর তাকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও, সঙ্গীতার কাছে আপাতত সাহায্য এসে পৌছায়নি। অনুর্ধ্ব-১৭ দলে খেলেছেন সঙ্গীতা।

ভুটান, তাইল্যান্ডেও গিয়ে ম্যাচ খেলেছেন সঙ্গীতা। ডাক এসেছিল ঝাড়খন্ডের সিনিয়র দলের হয়ে খেলার। অতিমারির কারণে সেই সুযোেগও হাতছাড়া হয়ে যায়। অন্ধ বাবা এবং ভাইয়ের মুখে দু’বেলা খাবার তুলে দেওয়ার জন্য মায়ের সঙ্গে আপাতত ইট ভাটাতেই কাজ করছেন সঙ্গীতা।

ছােটবেলা থেকেই অর্থাভাবের মধ্যে দিন কেটেছে। দিন আনা আধ পেটা খেয়েও ফুটবল খেলার স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি সঙ্গীতা। কিন্তু করােনা কালে সেই স্বপ্নটাও আপাতত ভেঙে গেল। আক্ষেপ নিয়ে সঙ্গীতা বলেন, খেলার স্বপ্নটা ছিল কিন্তু এখন সেটা অনেকটাই ধোঁয়াশা হয়ে গিয়েছে।

একজন ফুটবলারের প্রয়ােজন অনুশীলন ও খাবার। কিন্তু সেটাই আমি পাচ্ছি না। প্রতিটা রাজ্যের সরকার তাদের রাজ্যের খেলােয়াড়দের দিকে নজর রাখে। তবে এখানকার সরকার সেই দিকে নজর দেয় না। সেই জন্যই আমার মতন ফুটবলাররা দিনমজুর হয়ে যায়।