• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

লাল-হলুদ শিবিরে নাটক চলছে

নাটক চলছে তাে চলছেই। ইস্টবেঙ্গল ও বিনিয়ােগকারী সংস্থার সঙ্গে সমস্যা মিটতে গিয়ে মিটছে না। একের পর এক জিজ্ঞাসা উকি দিচ্ছে লাল-হলুদ শিবিরে।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (Photo:SNS)

নাটক চলছে তাে চলছেই। ইস্টবেঙ্গল ও বিনিয়ােগকারী সংস্থার সঙ্গে সমস্যা মিটতে গিয়ে মিটছে না। একের পর এক জিজ্ঞাসা উকি দিচ্ছে লাল-হলুদ শিবিরে। হঠাৎই আবার নতুন নাটক তৈরি হল ইস্টবেঙ্গলে।

গত শনিবার ইস্টবেঙ্গলকে সংশােধিত চুক্তিপত্র পাঠিয়ে দেয় শ্রীসিমেন্ট সংস্থা। কিন্তু সেই চুক্তিপত্র নিয়েও আবার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তাই বিনিয়ােগ সংস্থার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, চুক্তিপত্রে কী কী পরিবর্তন করা হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হােক।

যার ফলে সই করা নিয়ে আবার জটিলতা তৈরি হয়েছে প্রাক্তন ফুটবলারদের কোর কমিটি ও প্রাক্তন সচিব পার্থ সেনগুপ্ত মধ্যস্থতা করে একটা পথ তৈরি করেছিলেন, যাতে বিনিয়ােগকারী সংস্থার সঙ্গে ক্লাবের ব্যবধান না থাকে। তাদের কথা মতাে বিশেষ কয়েকটি শর্তকে নমনীয় করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ক্লাবের কর্মকর্তাদের কাছে।

শােনা যাচ্ছে সংশােধনী চুক্তিপত্রে সেইভাবে কোনও শর্তকে পরিবর্তন হয়নি। যদি এই শর্ত মেনে নিতে হয়, সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। একশাে বছরের বেশি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ঐতিহে অন্ধকার আসবে।

পাকাপাকিভাবে চুক্তিপত্রে সই করলে সমর্থক ও সদস্যদের কোনও গুরুত্ব থাকবে না। মনে রাখতে হবে, সমর্থকদের আবেগকে সবচেয়ে আগে জায়গা দিতে হবে। ক্লাব বিক্রি হয়ে গেলে সদস্য ও সমর্থকদের অস্তিত্বই থাকবে না।

গণতন্ত্র বিস্বাসী বলেই সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত কর্মকর্তারাই ক্লাবের প্রশাসনে রয়েছেন। ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা আলােচনায় বসেছিলেন সংশােধিত চুক্তিপত্রটি নিয়ে। সেখানে দেখা যায় অতীতে যে চুক্তিপত্রে যা যা লেখা হয়েছিল, তার কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।

এইভাবে সময় নষ্ট করে চললে আরও বিপদ ঘনীভূত হবে। যার ফলে সমর্থকাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ছেন। তারা জানতে চাইছেন কবে দল গঠন করা হবে?