বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ডু অর ডাই ম্যাচ পাকিস্তানের

বাংলাদেশের কাছে প্রথম টেস্ট ম্যাচে পাকিস্তান লজ্জার হারে মুখ লুকিয়ে ছিল। শুক্রবার থেকে এখানে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ শুরু হচ্ছে দুই দলের মধ্যে। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কাছে হেরে যাওয়ার পরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল পুরো পাকিস্তান দলকে। সেই কারণেই হয়তো দ্বিতীয় টেস্ট দলে পরিবর্তন আনার কথা বলেছিলেন বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁরা বলেছিলেন, এখানকার উইকেটের চরিত্র দেখে বোলারদের মনোনীত করা উচিত। যে উইকেটে খেলা হবে, সেই উইকেটে স্পিনারদের দরকার, নাকি পেসারদের দিয়ে প্রতিপক্ষ দলকে চাপে রাখা হবে, সেই সিদ্ধান্ত যদি কোচ এবং অধিনায়ক না নিতে পারেন, তাহলে দলের এই অবস্থা হওয়া স্বাভাবিক। তাই দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তান যে ১২ জনের দল ঘোষণা করেছে, তাতে তিনজন স্পিনারকে রেখে চারজন পেসারকে খেলানো হবে না, এমনই কথা বলা হয়েছে। তবে, দলের সঙ্গে একজন স্পিনার থাকবেন।

এদিকে খেলা চলাকালীন শাহিন আফ্রিদি সন্তানের বাবা হয়েছেন। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আফ্রিদিকে নিয়ে সতীর্থ খেলোয়াড়রা আনন্দে মেতে উঠেছিলেন।  তাই আফ্রিদি দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন না, এমনই কথাবার্তা শুনতে পাওয়া গিয়েছে পাকিস্তান শিবিরে। তাই আফ্রিদির বদলে স্পিনার হিসেবে পাকিস্তান দলে জায়গা পেয়েছেন আবরার আহমেদ। দ্বিতীয় টেস্টে আবার দলে ফিরেছেন মীর হামজা। কোচ জেসন গিলেসেপি বলেছেন, পরিবেশ, পরিস্থিতি বিচার করেই ১২ জনের দল ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে দেখতে হবে খেলার দিন উইকেটের চরিত্র কেমন হয়। সেই উইকেটের উপরেই নির্ভর করছে প্রথম একাদশে কারা থাকবেন। তবে বলতে দ্বিধা নেই, পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা এবার অত্যন্ত সিরিয়াস। বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে লজ্জার বদলা নিতে চাইছেন।

এটাও মনে রাখতে হবে, ক্রিকেট খেলার ভাগ্য আগে থেকে কখনওই বিচার করা সম্ভব নয়। সকালে উইকেটে যে চরিত্র থাকে, তা আবার বিকেলের উইকেটে পাল্টে যায়। তখনই কোচ ও অধিনায়কের আলাপচারিতার মধ্যে দিয়ে খেলোয়াড়দের নির্দেশ পাঠানো হয়। সেইভাবেই খেলতে পারলে খেলায় আমূল পরিবর্তন ঘটে যায়।


এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কীভাবে মোকাবিলা করবেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভালো ফর্মে রয়েছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। প্রথম টেস্টে যে জয় পেয়েছেন খেলোয়াড়রা, দ্বিতীয় টেস্টে তা হাতিয়ার করে পাকিস্তানকে আবার কোণঠাসা করার ছক কষবেন। বাংলাদেশের সব ক্রিকেটারই এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। এখন দেখার বিষয়, দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ কঠিন লড়াই করে পাকিস্তানকে আবার হারাতে পারে কিনা।